বাদুড়িয়া ডেঙ্গু প্রতিরোধের স্বয়ং বিডিও, লার্ভা নষ্ট করতে গাপ্পি মাছ ছাড়লো টাকি পৌরসভা।। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া, মিনাখা, বসিরহাট ও বাদুড়িয়া, বিগত দিনে দেখা গিয়েছে ডেঙ্গুর ভরকেন্দ্র। ইতিমধ্যে পাঁচ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩০ জন, হাসপাতালে ভর্তি। সময় যত যাচ্ছে, জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তত বাড়ছে, নড়েচড়ে বসছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
পাশাপাশি টাকি পৌরসভা উদ্যোগে বিভিন্ন ড্রেনে, ছোট জলাশয় যাতে ডেঙ্গুর লার্ভা বংশবৃদ্ধি না করতে পারে, তার জন্য গাপ্তি মাছ ছাড়া হচ্ছে। বাদুড়িয়া বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাস নিজেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ একদিকে যেমন স্বাস্থ্যকর্মী আশা কর্মীসহ একাধিক দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে স্বয়ং নিজে তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন এছাড়াও স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে প্রচার লিফলেট দেওয়া শুরু করেছে। যত্রতত্র নোংরা জল আবর্জনা ড্রেনে ডেঙ্গুর লার্ভা যাতে না জন্মায় তার জন্য ইতিমধ্যে প্রশাসন কোমর বেঁধে নেমেছে। হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ সুশান্ত বিশ্বাস বলেন,
আরও পড়ুন – বাজারে এক ব্যাক্তিকে শুভেন্দু সাজিয়ে কোমরে দড়ি পরিয়ে বাজার ঘোরাল তৃনমূল
আমরা ইতিমধ্যে সব রকম প্রচার চালাচ্ছি, ডাবের খোলা থেকে মাটির খুলি, নোংরা জায়গা, যাতে জল না যাবে তার জন্য সব রকম সচেতনতার বার্তা দিচ্ছি গ্রামে গ্রামে। পাশাপাশি গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে। প্রতিটা ব্লকে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের যেমন সচেতন করছেন। অন্যদিকে জ্বরের কোন উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার কথা বলা হচ্ছে।
জরে আক্রান্ত রোগীদের রক্ত এলাইজা টেস্ট করার কথা নির্দেশিকা জারি করেছে। সব মিলিয়ে ইতি মধ্য দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কম গত বছরের তুলনায়। যার কারণে এই রোগগুলো প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। যত বেশি বৃষ্টি হবে তত এই লার্ভা মরবে। সেক্ষেত্রে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে তাই আগামী দিনের চোখ রাঙ্গাচ্ছে, ডেঙ্গু তা বলা বাহুল্য।