বাবা এবং বড় দাদার হাতে খুন হল মেজো ছেলে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভক্তিয়াডাঙ্গী এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত ২০-২২ দিন আগে থেকে সমীর বালা নামে এক যুবক বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু গত দিন পাচেক আগে ওই এলাকায় ওই বাড়ির পাশ থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। এমন পরিস্থিতি দেখে প্রতিবেশীরা ঘটনার কথা জানান চোপড়া থানার পুলিশকে। পুলিশ ঘটনার কথা জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে।
যে জায়গা থেকে দুর্গন্ধ বেরোনো শুরু করে, সেখানে খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায় প্রচুর পোল্টি মুরগি সেই স্থানে পোতা হয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছিল কোন এক অজ্ঞাত কারণে তাদের পোল্ট্রি ফার্মের ৬০০-৭০০ মুরগি মারা যায়। তাই তারা সেখানে মুরগিগুলিকে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। এরপরেও চলে পুলিশের তদন্ত। প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর সংগ্রহ করে পুলিশ সমিরের বাবা হরষিত বালা এবং বড় ছেলে খোকন বালা ও তার মেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চোপড়া থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন – সাংবাদিক বৈঠকে, মমতা – মোদী কে এক যোগে আক্রমন অধীর চৌধুরীর
সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করে পরিবারের মেজো ছেলে সমির বালা মদ্যপান করে প্রায়শই জমিজমার জন্য বাবাকে বিরক্ত করতো। করতো মারধোরও। আর এই বিরক্ত থেকে মুক্তি পেতে বাবা এবং তার বড় ছেলে মেজ ছেলেকে হত্যা করে বাড়ির কিছুটা দূরে মাটিতে পুঁতে দেয়। সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে। পুলিশ মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকেই। বাবা এবং বড় দাদার