বাবুল কি সত্যিই “প্রথম এগারোর খেলোয়াড়”? জল্পনা! বাবুল সুপ্রিয়র রাজনৈতিক জীবম রংগময়।একসময় প্রধানমন্ত্রীর “নয়ন মণি” ছিলেন তিনি। প্রিয়পাত্র ছিলেন একটা সময়। তাঁর রাজনীতিতে আসার কথাই ছিল না। ২০১৪ এ নরেন্দ্র মোদী আসানসোলের মানুষের কাছে বলেছিলেন ‘মুঝে বাবুল চাহিয়ে’। সেবার জিতেও ছিলেন বাবুল। সেবার বাবুলকে মন্ত্রী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয়বার ২০১৯ এ জয়লাভ করেন তিনি।ফের মোদী মন্ত্রিসভায় বাসুযোগ পান তিনি। ২০২১ এর বিধানসভায় বাবুল টালিগঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী হলেও বিরাট ভোটে হেরে যান তিনি।
এ বিষয়ে,বাবুল জানিয়েছিলেন, অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ঠিক কী কারণে তাকে প্রার্থী করা হয়েছিল, তা তিনি জানেন না। কারণ অরূপকে ওই অঞ্চলে হারানো নাকি অসম্ভব।যদিও পরাজয়ের দাম দিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব চলে যায় তার। ক্ষুব্ধ বাবুল দল ছাড়েন এবং রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে জানান, “কোথাও যাচ্ছি না।” কিন্তু এবার পাশা উল্টে গিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে হাত মিলিয়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন তিনি।তাকে, বালিগঞ্জে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে দাঁড় করালে তিনি একেবারে জিতেই ফেরেন।
আর ও পড়ুন তোলা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতী হামলা
এই অবধি সব ঠিক ঠাক চললেও এবার গুঞ্জন উঠছে তাকে নিয়ে।প্রশ্ন ভাসছে এবার কি তিনি তৃণমূলের বিধায়ক হবেন! কিন্তু এটাই কি তাঁর একমাত্র পরিচয় থাকবে? গুঞ্জনে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, আসন্ন রাজ্য সরকারের বাণিজ্যমেলা শেষ হলে নাকি ফের মন্ত্রিসভায় (Cabinet) হবে এক বিরাট রদবদল। সুব্রত মুখোপাধ্যায় বা সাধন পান্ডের মৃত্যুর ফলে, মন্ত্রিসভা থেকে দুটি স্থান কমেছে।যেখানে যাবেন নিয়ম মাফিক নতুন দুই মন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।এছাড়াও, কোনও দফতর বা একাধিক দফতরের ও রদবদল হতে পারে বলে সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে।আর এখানেই প্রশ্ন তাহলে কি এবার নতুন মুখ হিসেবে বাবুল সুপ্রিয় আসবেন?কারণ,এমনিতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অভিজ্ঞতা তার ভরপুর রয়েছে। কাজেই তাঁকে মন্ত্রিসভার দায়িত্ব দেওয়া যেতেই পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।অন্যদিকে, বাবুল দল ছাড়ার পর বলেছিলেন, তিনি নাকি প্রথম এগারোর খেলোয়াড়। তাহলে সেই কথা কি এতদিনে হাতে নাতে ফলতে চলেছে?আপাতত,এই নিয়ে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত বাংলার রাজনৈতিক মহল!