বামনগোলা গ্রামীণ হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে বিপিএইচইউ,ওপিডি কমপ্লেক্স,বাড়ছে ২০টি বেড। মালদহ জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত বামনগোলা গ্রামীণ হাসপাতালে নতুন বিপিএইচইউ অর্থাৎ ব্লক পাবলিক হেলথ্ ইউনিট এবং ওপিডি তৈরি করা হচ্ছে।হাসপাতাল চত্বরে বিপিএইচইউ দ্বিতল ভবন তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।এখন দেওয়াল প্লাস্টার করার কাজ চলছে।এই হেলথ্ ইউনিট উদ্বোধন হলে বহু রোগীরা এক ছাদের তলায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু,করোনা, ডায়রিয়ার মতো একাধিক রোগের চিকিৎসা পাবে।এছাড়াও যাবতীয় টেস্টও সহ নানা সুবিধা ওই কেন্দ্র থেকেই পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে হাসপাতালের প্রবেশ দ্বারের পাশে এলাকায় ওপিডি কমপ্লেক্স জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে।আগামী দিনে কাজটি হবে।সেই কাজও সম্পূর্ণ হলেও একেবারে ২০০ বেশি রোগী ও তার আত্মীয়রা এক সঙ্গে অপেক্ষা করার আরামদায়ক স্থান পাবে।এই খানেই শেষ নয়, আরও সুষ্ঠ পরিষেবার লক্ষ্যে হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।নতুন ২০টি বেড তৈরি হবে।ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক ভাবে ১০টি করে বেড বরাদ্ধ থাকবে।এনিয়ে গ্রামবাসীরা ভীষন খুশি।
আরও পড়ুন – ত্রিকোণ প্রেমের পরিনীতিতেই কি গৃহবধূর মৃত্যু, আতঙ্কিত শহরবাসী
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগকে স্থানীয়রা সাধুবাদ জানিয়েছেন।উল্লেখ্য,মালদহ থেকে ৬০ কিমি দূরে একেবারে প্রত্যন্ত আদিবাসী মদিপুকুর গ্রামে রয়েছে বামনগোলা গ্রামীণ হাসপাতাল।স্থানীয় সকল মানুষ এই হাসপাতালের উপরেই নির্ভরশীল।পাশাপাশি পাশে দক্ষিণ দিনাজপুরের একাংশ রোগীরাও এখানে ভিড় করে।সেই নিরিখে হাসপাতালে পরিকাঠামো ও বেড সংখ্যা পর্যাপ্ত নেই। গ্রামবাসীদের সুবিধার জন্য অতীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নানান মহলে বহুবার দাবি পূরণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে এসেছেন।
সেই অনুযায়ী ধাপে ধাপে হাসপাতালে ভোল বদলাচ্ছে।এমনই মত গ্রামবাসীদের।এ বিষয়ে বামনগোলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ কুন্ডু বলেন,ধীরে ধীরে হাসপাতাল বড় হচ্ছে।অক্সিজেন প্যান্ট বসেছে।সিলিন্ডার আসার অপেক্ষা আর করতে হয় না।গোটা জেলার মধ্যে মোট চারটি হাসপাতালে বিপিএইচইউ হচ্ছে।তার মধ্যে বামনগোলার গ্রামীণ হাসপাতালেও রয়েছে।সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে ওপিডি কমপ্লেক্স করা হবে।