
কখনও নিজেকে বোর্ড অব মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য। আবার কোথাও ভিজিলেন্সের ডিজি পদমর্যাদার অফিসার, সি আই ডি অফিসার পরিচয় দিয়ে অল্প বয়সী মেয়েদের নিজের ফাঁদে ফেলত প্রতারক। তারপরে মেডিক্যাল পরীক্ষার নাম করে পুলিশের ভালো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে করা হত প্রতারণা। এমন অভিযোগেই গ্রেপ্তার হল এক ভুয়ো চিকিৎসক ( Doctor ) ।
তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মেডিক্যালের ( Doctor ) ভুয়ো পরিচয়পত্র, একটি মোবাইল। রবিবার বিকালে গড়িয়া এলাকা থেকে তাকে ধরে বারুইপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশ এর সহযোগীকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। মূল অভিযুক্তের নাম শেখর গঙ্গোপাধ্যায়। বালিগঞ্জের কসবার বাসিন্দা। সঙ্গীর নাম গফুর সরদার। বাড়ি রামনগর এলাকায়। অভিযুক্তদের সোমবার দুপুরে বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
৬২ বছর বয়স মূল অভিযুক্তের। অল্পবয়সী মেয়েদের নিজের কথাবার্তা চালচলনে তার উপর নজর ঘুরিয়ে দিত। চাকরির জন্য অনেক তরুণী তার কাছে গেলে অভিযুক্ত বলত তিনি মেডিক্যাল ( Doctor ) পরিক্ষা করলেই হবে পুলিশের চাকরি। নচেৎ কোনও ভাবেই পাওয়া যাবে না। এমনকী, পুলিশের কনস্টেবল, এস আই পদে চাকরি পাইয়ে দেবে বলে টোপ দেওয়া হত তাদের।
আর ও পড়ুন আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বদলে যাচ্ছে বেলুড় ( Belur ) মঠে প্রবেশের সময়সূচী
বয়স্ক মানুষ ভেবে সহজেই তার কথায় বিশ্বাস করে নিত প্রতারিত তরুণীরা। কিন্তু মেডিক্যাল পরীক্ষার নাম করে তরুণীদের বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যাওয়া হত। অনেক পুলিশ অফিসারের সঙ্গে তার পরিচয় আছে বলে নিজেকে জাহির করত ধৃত। এইভাবেই অনেক তরুণী প্রতারিত হয়েছিল। ২০১৬ সালে গড়িয়াহাট থানায় প্রতারণার অভিযোগে তাকে ধরেছিল পুলিশ।
বারুইপুর থানায় গত জুলাই মাসে জীবনতলা থানা এলাকার বাসিন্দা প্রতারিত মহিলা অভিযুক্তের নামে অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে ধরে। সহযোগী গফুর সরদার বারুইপুর ফুলতলায় অ্যাথেলেটিক কোচিং এর কাজে যুক্ত। তার কাজ ছিল বিভিন্ন তরুণীদের মোবাইল নাম্বার জোগাড় করে মূল অভিযুক্তের হাতে তুলে দেওয়া।