দক্ষিন ২৪ পরগণা – দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে গলা কাটা যুবকের দেহ উদ্ধারের ন’দিন পর অবশেষে রহস্যের জট খুলল। মৃত যুবক শান্ত মণ্ডলকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে তারই জামাইবাবু দেবব্রত পাত্রসহ আরও তিনজন—মিনাজুল পাইক, জসিমুদ্দিন লস্কর এবং হাফিজুল মোল্লা। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। মৃত শান্ত মণ্ডল ব্যাঙ্গালোরে গাঁজার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, অপরদিকে দেবব্রত পাত্র খাবার সরবরাহের কাজ করতেন। শ্যালকের আর্থিক সচ্ছলতা এবং গলায় থাকা সোনার চেন দেখে ঈর্ষা জন্মায় জামাইবাবুর মনে। ব্যবসায় মন্দা চলায় ক্রোধ আরও বাড়ে, আর তার ফলেই পরিকল্পিতভাবে খুনের ছক কষে দেবব্রত।
দশমীর দিন শান্তকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় দেবব্রত। সহযোগী হিসেবে সঙ্গে নেয় মিনাজুল, জসিমুদ্দিন এবং অটোচালক হাফিজুলকে। প্রথমে বাসন্তীতে গিয়ে মদ্যপান করে তারা, এরপর রাতে বেগমপুর সাট কলোনি এলাকায় নিয়ে গিয়ে শান্তকে মদ্যপান করিয়ে এক ধারালো কাটারির আঘাতে খুন করা হয়। একাদশীর দিন রক্তাক্ত গলা-কাটা দেহ উদ্ধার হয় রাস্তার ধারে। পুলিশ জানিয়েছে, দেবব্রত ওই কাটারি স্থানীয় এক কামারের কাছ থেকে কিনেছিল খুনের উদ্দেশ্যে। অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এবং খুনের অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চালাচ্ছে।
