বালাসনে জল বাড়তেই রাত আটটা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা। টানা বৃষ্টিতে বালাসনে জল বাড়তেই ঝুকির মুখে নদীর ওপর অস্থায়ী ডাইভার্সন। সতর্কতা জারি করে প্রশাসনের তরফে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত যানচলাচলে ওপর নিষেধাজ্ঞা। ঝুঁকি এড়াতে রাত আটটা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত যান চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ টানা হয়েছে। উত্তরে কিছুটা আগেভাগেই এবারে থাবা বসিয়েছে বর্ষা। পাহাড় ও সমতলে লাগাতার বৃষ্টিপাতের জেরে শিলিগুড়ি বালাসন নদীর জলস্ফীতি ঘটেছে। ক্রমাগত টানা বৃষ্টির জেরে পাহাড় থেকে জল নেমে আসাছে বালাসন নদীতে। বর্ষার শুরুতেই জল বেড়ে নদী বক্ষ ফুঁলে ফেঁপে ওঠায় শঙ্কার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে বালাসনের ওপর থাকা ডাইভার্সন। সেতুর ক্ষতিগ্রস্থ পিলার সারাই করে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই স্থায়ী বালাসন সেতুকে স্বমহিমায় ফেরাতে জোর কদমে চলছে কাজ।
উল্লেখ্য বিগত বছর ১০ই সেপ্টেম্বর প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে শিলিগুড়ির প্রবেশ মুখে জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযোগকারী মাটিগাড়া বালাসন সেতুর সাত নম্বর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।হেলে পরে সেতুর একাংশ। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দ্রুততার সঙ্গে সেতুর উপরে ক্ষতিগ্রস্থ অংশে বেইলি ব্রিজ তৈরি করা হয়। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বালাসনের ওপর ডাইভার্সন করে ফেয়ার ওয়েদার সেতু ও সংযোগকারী রাস্তা তৈরী করা হয়। তবে বর্ষার আগেই বালাসনের স্থায়ী সেতু সারাই করে স্বমহিমায় চালুর টার্গেটে নেয় পূর্ত দপ্তরের এন এইচ ডিভিশন ৯। কিন্তু উত্তরবঙ্গের প্রচলিত জলবায়ু ক্যালেন্ডার ভেঙে বর্ষা কিছুটা আগাম অনাহূত অতিথিরূপে হানা দেওয়ায় আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।
আরও পড়ুন – শরদ পাওয়ারের টেররিস্টের সাথে যোগাযোগ ছিল, এইরকম একজন রাষ্ট্রপতি হলে দেশে টেররিজম বাড়বে, দিলীপ
সোমবারের পর মঙ্গলবার রাতে টানা বৃষ্টিতে ডাইভার্সনের সংযোগকারী অ্যাপ্রচ রোডের একটা অংশ ভেঙে পড়ছে। জলের তোড়ে ধসে যাচ্ছে ডাইভার্সনের দুধারে বাঁধাইয়ের পাথর। ঝুঁকি এড়াতে বুধবার দিনভর পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সহ ট্রাফিক পুলিশ সিভিল ডিফেন্স টিম সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। রাজ্য পূর্ত দপ্তর এন এইচ ডিভিশন ৯ এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শিশির কুমার দেব জানান ঘটনাস্থল সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হয়েছে। ট্রাফিকের তরফে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যে কোনো রকমের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পূর্ত দপ্তর ও পুলিশ টিম মজুত রয়েছে।
অন্যদিকে স্থায়ী সেতুর চালুর বিষয়ে তিনি জানান ক্ষতিগ্রস্ত পিলারের ভিত্তিরপ্রস্থ এবং পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পিলারটিকে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে জ্যাকের মাধ্যমে তুলে সঠিক ভাবে স্থাপন করা হবে। কাজ সম্পন্ন হতে আরও অত্যন্ত পক্ষে ৪০-৫০দিন সময় লাগবে। এন এইচ ডিভিশন ৯এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার আর কে সিং জানান ১৫ই আগস্টের মধ্যে বালাসনের ওপর থাকা অস্থায়ী বেইলি ব্রিজটিকে সরিয়ে স্থায়ী সেতুটি পুনরায় যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আবহাওয়া নির্ভর ফেরার ওয়েদার সেতুটিও থাকছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ডাইভার্সনের প্রয়োজনিয়তা সেভাবে থাকবে না।