বালিঘাটে হানা দিয়ে চক্ষু চড়কগাছ জেলাশাসকের

বালিঘাটে হানা দিয়ে চক্ষু চড়কগাছ জেলাশাসকের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা,বীরভূম,২৫শে জুলাই : বালি মজুদ দেখে প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ বলেই ফেললেন, “এতো মরুভূমি হয়ে গেছে!” দীর্ঘদিন ধরে এমনই চিত্র বীরভূমের সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের খটঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বেআইনিভাবে দিনের পর দিন বালি মজুদ করে এমনই চেহারায় রূপান্তরিত হয়েছে এলাকা দেখলে মরুভূমি ছাড়া কিছু বলাই যাবে না।

অবশেষে সেই ঘটনার টনক নড়ে বীরভূম জেলা প্রশাসনের। নদী থেকে অবৈধ বালি চলে মজুদ করা হয়েছে এলাকায়, সেই মজুত খতিয়ে দেখতে বীরভূম প্রশাসনের বিশেষ অভিযান। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং এবং ডিএলআরও পূর্ণেন্দু মাঝি সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। সিউড়ী ১ নম্বর ব্লকের খটঙ্গা পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় মজুদ বালি খতিয়ে দেখেন তারা।

এদিন অবশ্য প্রশাসনিক কর্তাদের অভিযানের খবর পেয়ে আগেই বালি ঘাটের লোকজন সরে পড়েছিলেন। প্রশাসনিক কর্তাদের এই অভিযানে বেশ কয়েকটি জায়গায় বালি মজুতকে অবৈধ বলে চিহ্নিত করা হয় বলে জানা গিয়েছে প্রশাসনিক সূত্রে। আর এই বেআইনি বালি মজুতের ঘটনায় আপাতত চারজনকে আটক করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

বীরভূম জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, “বর্ষার এই মৌসুমে বালি তোলা বন্ধ থাকে নদী গর্ভ থেকে। কিন্তু বালি স্ট্যাগের ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে সেই বালি স্ট্যাগ করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে এই অভিযান। এখানে এসে বেশ কিছু জায়গায় দেখা যাচ্ছে নিয়ম না মেনে বালি স্ট্যাগ করা হয়েছে। সেগুলির ক্ষেত্রে আইন মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

বীরভূম জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু আরও জানান, “এর আগে অনেকবার বৈঠক করে সঠিক পথে চলার জন্য বলা হয়েছে, কিন্তু তারপরেও সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় আমি নিজে অভিযানে এসেছি।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top