হাওড়া – বালি পাচার কাণ্ডে রাজ্যে নতুন মোড়। প্রথমবার এই মামলায় গ্রেফতার হলেন এক ব্যবসায়ী — জি ডি মাইনিং কোম্পানির প্রধান অরুণ শরাফ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বালি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি (ED) আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, অরুণ শরাফের বিরুদ্ধে বালি খাদান থেকে বেআইনি বালি উত্তোলন ও পাচারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যদিও নিয়ম মেনে লিজ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে তার সীমা অতিক্রম করে ব্যাপক পরিমাণ বালি তোলা হয় বলে দাবি তদন্তকারীদের।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, এই অতিরিক্ত বালি পাচারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করতেন অরুণ শরাফ। সেই অর্থ জি ডি মাইনিং সংস্থার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হত এবং পরে হাওয়ালা মারফত বিদেশে পাঠানো হতো। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অরুণ শরাফ দীর্ঘদিন ধরেই নজরদারিতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। বালি ট্রাকচালক থেকে সংস্থার কর্মী— কাউকেই রেহাই দেওয়া হয়নি।
দিনের শেষে বালি থেকে গ্রেফতার করা হয় অরুণ শরাফকে। পাশাপাশি তাঁর সল্টলেক ও বেহালার অফিস থেকেও বিপুল পরিমাণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, শুক্রবার সকালে আদালতে তোলার পর অরুণকে জেরা করলে এই পাচারচক্রে যুক্ত আরও প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম সামনে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রথমবার বালি পাচারের তদন্তে অভিযান চালায় ইডি। বেহালা, ঝাড়গ্রাম-সহ রাজ্যের মোট ২২টি স্থানে একযোগে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে শেখ জহিরুল আলির বিশাল তিনতলা বাড়িতেও হানা দেয় তদন্তকারী দল। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সুবর্ণরেখা নদী থেকে বেআইনি ভাবে বালি তোলা হচ্ছিল। জহিরুল নিজেও সেই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে।
বেহালার জেমস লং সরণীর একটি অফিসে তল্লাশির সময়ই মেলে জি ডি মাইনিং নামের সংস্থার যোগসূত্র। সংস্থাটির আরও একটি শাখা রয়েছে বিধাননগর সেক্টর ফাইভে। এই সংস্থা ও তার প্রধান অরুণ শরাফের গ্রেফতারি তদন্তে এক বড় অগ্রগতি বলে মনে করছে ইডি।




















