সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী থেকে বালি এবং মাটি তোলার বিরুদ্ধে কড়া বার্তা মন্ত্রীর। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী থেকে বালি এবং মাটি তোলার বিরুদ্ধে কড়া বার্তা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজার। আটক বেশকিছু জেলে নৌকা।প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন অবৈধভাবে বালি তুললেই প্রশাসনকে নিতে হবে কড়া পদক্ষেপ।
আর এবার দক্ষিণের সুন্দরবন এলাকার গঙ্গাসাগরে অবৈধ বালি তোলায় হারু পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে যখন অবৈধ বালি তোলাকে কেন্দ্র করে উঠে আসছে একের পর এক অভিযোগ তখন অন্য এক ছবি ধরা পরল গঙ্গাসাগরে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা লড নম্বর ৮ নম্বর ঘাটের কাছে এলসিটি জেঠির কাছেই কিছুদিন আগে অভিযোগ ওঠে বেশকিছু চোরাকারবারিরা বালি চুরি করছে সরকারের চোখকে ফাঁকি দিয়ে। এরপরই হারু পয়েন্ট কোস্টাল থানার কাছে খবর গেলে হারু পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ তিনটি ডিঙ্গি নৌকা সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে এই ঘটনায়।
আর ও পড়ুন ফের সাইক্লোন আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলায়
অন্যদিকে এই অবৈধ বালি খাদান কে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি রাজ্য সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলেছে তখনই গঙ্গাসাগরে দেখা গেল অন্য ছবি নদীর নাব্যতা ঠিক রাখতে সরকারি নিয়ম মেনে চলে পূর্ণ হচ্ছে রাজকোষ। প্রতিবছরই মকর সংক্রান্তির পূর্ণ তিথিতে লাখো লাখো পুণ্যার্থীর ভিড় হয় গঙ্গাসাগরের পুণ্যভূমিতে। যেখানে দূর-দূরান্তের বহু পরিপূর্ণ স্নান সেরে বাড়ি ফেরে। সেই কথা চিন্তা করেই যাতায়াত ব্যবস্থা কে সুগম করার জন্য রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় চলে ড্রেজিংয়ের কাজ।
২০১৮সালের রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেচ দপ্তরের মাধ্যমে ইন্ডিয়ান ড্রেজিং কর্পোরেশন এর সাথে সাত বছরের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যেখানে যার মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থা কে সুগম রাখার জন্য মুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে চলবে ড্রেজিংয়ের কাজ। এরপর ২০২২ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক, সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক দের নিয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী একটি বৈঠক করেন যেখানটায় ঠিক হয় বুড়িগঙ্গা নদীর ওপরে অ্যাড্রেসিং করার জেবালি তা গঙ্গাসাগর মেলার পরে দু তিনটে জায়গায় স্টক করা হবে এবং সেটি ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট এর সহযোগিতায় রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে বিক্রি হবে।
আর তাতেই মিলছে অভূতপূর্ব সাফল্য ইতিমধ্যেই ২০২২ গঙ্গাসাগর মেলার পর আঠাশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ কোষাগারে জমা পড়েছে ১৭ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। যার ফলে অনেকটাই সাফল্যের মুখ দেখছে রাজ কোষাগার। আর সেখানেই মিলেছে সুন্দরবন জেলার সাফল্য। একদিকে যখন অবৈধ বালি ফাদার নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠে এসেছে ঠিক তখনই রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় গঙ্গাসাগরের মুরিগঙ্গা নদী থেকে তোলা বালি এখন আর্থিক সঙ্গতির মুখ দেখাচ্ছে রাজ কোষাগার কে।