বাল্যবিবাহ রুখতে গিয়ে হেনস্তার মুখে আধিকারিকরা

বাল্যবিবাহ রুখতে গিয়ে হেনস্তার মুখে আধিকারিকরা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
বাল্যবিবাহ

বাল্যবিবাহ রুখতে গিয়ে হেনস্তার মুখে আধিকারিকরা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার ভেবিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ভেবিয়া এলাকার ঘটনা। বছর ১৬,এর একাদশশ্রেণীর ছাত্রী বিয়ের দিচ্ছিল এক যুবকের সঙ্গে। পাত্রীর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন। এই ঘটনা জানাজানি হতে,প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ার কারণে নবালিকা হওয়ায় গ্রামবাসীদের কাছে খবর গেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা টোল-ফ্রী নম্বর সল্টলেকে কন্যাশ্রী দপ্তরে ফোন করেন।

 

এরপর হাসনাবাদ বিডিও মোস্তাক আহমেদ বিষয়টি জানতে পারেন।  বিডিওর  নির্দেশে কন্যাশ্রী আধিকারিক প্রবীর মুখার্জি সহ পাচ জনের একটি প্রতিনিধিদল বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। নাবালিকার ছাত্রী ও তার বাবা জালাল উদ্দিন মল্লিক, মা সালমা মল্লিক, ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সেই সময় তাদের সঙ্গে আধিকারিকরা কথা বলেন। আধিকারিকরা জানান যে নাবালিকা বিয়ে অপরাধ ,এই বিয়ে দিতে পারেননা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত। একটা মুচলেকা দিতে হবে।

 

কিন্তু এর মধ্যেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আধিকারীকরা।  ছাত্রী তার বাবা-মা সহ আধিকারিকরা বাক বিতন্স্থাডায় জড়ান।  স্থানীয়  বাসিন্দারা ছুটে আসে তারাও চিৎকার-চেঁচামেচি করতে শুরু করেন। সরকারি আধিকারিকদের একদিকে হেনস্থা, অন্যদিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ দিতে শুরু করেন। প্রায় ১,ঘন্টা ধরে এই বচসা শুরু হয়, মুচলেকা দিতে অস্বীকার করে নাবালিকা ছাত্রীর বাবা ও মা। এরপর  বিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন আধিকারিকরা।

 

আর ও পড়ুন    প্রয়াত হলেন সুভাষ ভৌমিক

 

এই ঘটনা পুরো বিষয়টা হাসনাবাদ থানার পুলিশকে জানানো হয়। আধিকারিকরা একটি নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি। এমনকি বিয়ে বন্ধ করেছে বলেছে কোন খবর পাওয়া যায়নি। এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রীতিমতো ক্ষুব্ধ কন্যাশ্রী দপ্তর আধিকারিকরা।

 

তারা জানাচ্ছেন পড়াশোনার জন্য সরকারি এত সুযোগ সুবিধা থাকতে কেন নাবালিকা ছাত্রীকে বিয়ে দিচ্ছে, তাহলে এত প্রচার সচেতনতা আর সামাজিক অন্ধকার জগৎ থেকে এখনো কি বেরিয়ে আসতে পারিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সেই প্রশ্ন আরো একবার উঠে গেল।এই ঘটনায় এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

 

উল্লেখ্য, বাল্যবিবাহ রুখতে গিয়ে হেনস্তার মুখে আধিকারিকরা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার ভেবিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ভেবিয়া এলাকার ঘটনা। বছর ১৬,এর একাদশশ্রেণীর ছাত্রী বিয়ের দিচ্ছিল এক যুবকের সঙ্গে। পাত্রীর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন। এই ঘটনা জানাজানি হতে,প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ার কারণে নবালিকা হওয়ায় গ্রামবাসীদের কাছে খবর গেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা টোল-ফ্রী নম্বর সল্টলেকে কন্যাশ্রী দপ্তরে ফোন করেন।  এরপর হাসনাবাদ বিডিও মোস্তাক আহমেদ বিষয়টি জানতে পারেন।

 

বিডিওর  নির্দেশে কন্যাশ্রী আধিকারিক প্রবীর মুখার্জি সহ পাচ জনের একটি প্রতিনিধিদল বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। নাবালিকার ছাত্রী ও তার বাবা জালাল উদ্দিন মল্লিক, মা সালমা মল্লিক, ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সেই সময় তাদের সঙ্গে আধিকারিকরা কথা বলেন। আধিকারিকরা জানান যে নাবালিকা বিয়ে অপরাধ ,এই বিয়ে দিতে পারেননা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত। একটা মুচলেকা দিতে হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top