বাস চালানোর দাবিতে ধর্মঘট, হস্তক্ষেপ তৃণমূল জেলা সভাপতির। উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলার ভেতর দিয়ে বাস চালানোর দাবি নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হলো ডালখোলায়। উল্লেখ্য ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগস্থল উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা। আবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লাইনও গিয়েছে এই ডালখোলার উপর দিয়েই।
স্বভাবতই অধিকাংশ সময় এই রেলওয়ে ক্রসিংয়ের রেলগেট বন্ধ থাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয় এখানে। এর ফলে উত্তর থেকে দক্ষিনে বা দক্ষিণ থেকে উত্তরে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণ কে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকতে হয় এই যানজটে। দুর্ভোগে পড়ে বহু সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন যাত্রী সাধারণ।বাইপাস নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আগামী ১৭ ই নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বাইপাসের উদ্বোধন করে দেওয়া হবে। বাইপাস খুলে দিলে যাত্রী সাধারণের সুবিধা হলেও অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন ডালখোলা বাসিরা।
আরও পড়ুন – ত্রিকোণ প্রেমের পরিনীতিতেই কি গৃহবধূর মৃত্যু, আতঙ্কিত শহরবাসী
ডালখোলা বাইপাস রাস্তা চালু হওয়ায় ফলে ডালখোলা শহরের মধ্যে দিয়ে বাস যাতায়াত না করায় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীরা অসুবিধায় পড়বেন এমনই আশঙ্কা করছেন ডালখোলার আমজনতা। রবিবার ডালখোলা নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে এক বিশাল পদযাত্রা সহ বিক্ষোভ মিছিল করা হয় শহরের মধ্য দিয়ে বাস চালানোর দাবিতে। আগামী ১৬ই নভেম্বর তারিখে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ডালখোলা নাগরিক কমিটি। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি স্পর্শ কাতর।
এই বাইপাস হওয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গের আমজনতার সুবিধা হবে ঠিকই কিন্তু খোদ ডালখোলা বাঁশির অনেকটাই অসুবিধা। কারণ ভেতর দিয়ে বাস না যাতায়াত করলে স্কুল ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অফিস আদালতে যেতে ডালখোলা বাসিকে হয়রানির মুখেই পড়তে হবে। তাই ডালখোলার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম পালকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্তত কিছু লোকাল বাস ইসলামপুর ও রায়গঞ্জের মধ্যে ডালখোলা শহরের ভেতর দিয়ে চালানোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ করা হয়েছে তাকে।