
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত গতিতে এসে বাসটি ধাক্কা মারে পিলারে। ঘটনায় সম্পূর্ণ ভাবে বাসটি দুমড়ে-মুছড়ে গিয়েছে। ঘটনায় বাসে থাকা ১১ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা যাচ্ছে।
বুধবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কলকাতা শহরে। অফিস টাইমে এই ঘটনার কারণে ব্যাপক যানজট তৈরি হয় ওই এলাকাতে। যদিও সঙ্গে সঙ্গে ঘাতক বাসটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বারবার শহরের বুকে বাস দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইপাস থেকে কিছুটা দুড়ে চায়না টাউনের সামনে প্রগতি ময়দান থানা এলাকাতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, বাসটি দ্রুত গতিতে পার্ক সার্কাস থেকে সায়েন্স সিটির দিকে যাচ্ছিল।
কেপি-১১ রুটের বাস ছিল এটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাসটি গতি এতটাই ছিল বিশাল শব্দ করে বাসটি ফ্লাইওভারের পিলারে ধাক্কা মারে। একেবারে প্রবল গতিতে মারা ধাক্কাতে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে বাসটি। দুর্ঘটনার জেরে বাসের সামনের কাচ সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে গিয়েছে। এই ঘটনাতে বাসের মধ্যে থাকা ১১ জন যাত্রীর আহত খবর সামনে এসেছে। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা যাচ্ছে।
আর ও পড়ুন ; দরিদ্র প্রবীণদের শেষ ভরসা ‘জয় বাংলা’ পেনশন প্রকল্প
তবে ঘটনার পর ঘাতক বাসটিকে উদ্ধার করা হলেও বাসের ড্রাইভার এবং কন্ডাক্টর ঘটনার পর থেকে পলাতক। দুজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি কি কারণে এই ঘটনা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রেষারেষির কারণে নাকি অন্য কারণ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে গত কয়েকদিনে শহরের বুকে বাস দুর্ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নবান্নের তরফে বাস চালানোর অনুমতি দেওয়ার পর রেড রোডে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।
গত কয়েকদিন আগে হাওড়াতে যাত্রী নিয়ে নয়াণজুলিতে পড়ে যায় একটি মিনিবাস। ফের এদিনের ঘটনাতে প্রশ্নের মুখে শহরের যাত্রী সুরক্ষা। একাংশের মতে, বাসগুলিকে সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষন করা হচ্ছে না।এরপর কড়া বিধি নিষেধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল বাস পরিষেবা। ফলে সেই সময় বাসগুলিকে ফেলে রাখা হয়। এই অবস্থায় নতুন করে পরিষেবা শুরু হতে একের পর এক এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি যাত্রীদের। এই ধরণে ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে।