বাড়ির সামনে গুমটি বসিয়ে প্রবেশের পথ আটকানোর অভিযোগে চাঞ্চল্য রামরাজাতলায়। বাড়ির সামনে হঠাৎই গজিয়ে উঠেছে গুমটি। বারবার বলা সত্ত্বেও গুমটির মালিক কর্নপাত করছেন না। এমনই অভিযোগ উঠল হাওড়ার বাঁকরা এলাকার বাসিন্দা আলম খানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন রামরাজাতলায় রেল লাইনের ধারের বাসিন্দা সুজাতা পাঁজা। সুজাতা দেবী জানান, তার জায়গায় ঢোকার রাস্তার মুখে একটি গুমটি তৈরি করে আচমকাই বসে পড়ায় সমস্যাতে পড়েন তিনি। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও তাকে বারংবার অনুরোধ জানালেও কর্ণপাত করে নি গুমটির মালিক। এরপর এলাকার লোকে ক্ষিপ্ত হয়ে সেই দোকান ওখান থেকে সরিয়ে দেয় বলে জানা যায়।
আর এরপরই গুমটির মালিক কয়েকজনকে নিয়ে এসে গন্ডগোল করে ও সুজাতা পাঁজা ও তার স্বামীকে ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা সুজাতা দেবীর সমর্থনে আলম খানের দাদাগিরির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে অবরোধ করে। অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় জগাছা থানার পুলিশ। তারা অবরোধকারীদের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
আর ও পড়ুন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রাণের ইছামতীর পাড়ে নববর্ষ পালন
ঘটনার পরে সুজাতা পাঁজা জানান অনেক কষ্ট করে ধার দেনা করে তিনি ও তার স্বামী এই জায়গাটি কিনেছেন। এই জায়গাটির ঢোকার মুখের রাস্তার সামনে হঠাৎ করে গুমটি বসিয়ে দেয় বাঁকড়ার বাসিন্দা আলম খান। তিনি অভিযোগ করে বলেন তারা জায়গাটি কেনার সময় যখন দেখতে এসেছিলেন তখন কোনো গুমটি ছিল না সেখানে। এরপর জায়গাটি কিনে পাঁচিল দিয়ে গেট তৈরি করেন তারা। আচমকা সেই গেট ভেঙে দেয় আলম খান ও ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে তাদের থেকে।
তাদেরকে হুমকিও দেয় আলম খান ও তার ভাই বলেই দাবি করেন। এরপরে তারা জগাছা থানার দ্বারস্থ হলে সেখান থেকে সাহায্য নিয়ে তারা বাড়িতে ঢুকতে পারছেন ও এই গুমটিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও জগাছা থানা সূত্রে জানা যাচ্ছে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই এই বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। যাতে সমস্যা মেটে তার জন্য যথাসম্ভব তারা চেষ্টা করছেন। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আলম খানকে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ফোন রেখে দেন। তারপর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।