বিকট শব্দের বেপরোয়াবাজ বাইক চালকদের পায়ে এবারে বেড়ি পড়াতে চলেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ

বিকট শব্দের বেপরোয়াবাজ বাইক চালকদের পায়ে এবারে বেড়ি পড়াতে চলেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিকট শব্দের বেপরোয়াবাজ বাইক চালকদের পায়ে এবারে বেড়ি পড়াতে চলেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। নিঃশব্দে হোয়াটস অ্যাপকে হাতিয়ার করেই বেপরোয়াবাজেদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারবে আমজনতা। শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এবারের শব্দদূষনের ওপর নিয়ন্ত্রণ টানতে বিকট শব্দের সাইলেন্সারের বাইক চালকদের দমনে সিংঘামি ভূমিকায় শহরের অভিযান চালাচ্ছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। আর তার সঙ্গেই এবারে আম সাধারণ সরাসরি ট্র্যাফিক পুলিশের ট্র্যাফিক কমপ্লেইন হোয়াটস নাম্বারে অভিযোগ জানাতে পারবেন বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে।

 

সেক্ষেত্রে শহরের রাস্তায় বিকট শব্দযন্ত্রনা সৃষ্টিকারী কারসাজিপূর্ন সাইলেন্সার যুক্ত মোটর সাইকেলের ছবি বা ভিডিও ট্র্যাফিক পুলিশের ৯০৯১৯২৯৪৯৯ এই নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠালেও দ্রুততার সঙ্গে বাইক চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক ডিসি দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করে ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা জানান সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা নির্দেশমতো ট্রাফিক বিভাগ একটি অভিযান চালায় শহর জুড়ে। দেখা যায় শহর জুড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে তোয়াক্কা না করেই চলছে বেপরোয়া বাইক চালকদের দৌরাত্ম্য।

 

কারসাজি পূর্ণ সাইলেন্সার যুক্ত মোটরসাইকেলের বিকট শব্দযন্ত্রনায় অতিষ্ঠ শহরবাসীর। প্রবীণ নাগরিকদের পাশাপাশি বর্তমানে মাধ্যমিক চলছে সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদেরও বিকট শব্দে সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন রাতে এই দাপট আরও বেড়ে যায়। বেপরোয়াভাবে লাগামছাড়া গতিতে শহরের বিভিন্ন সড়কের দিয়ে চলে কিছু বাইক। তাই পুলিশ কমিশনারের নির্দেশমতো এই বেপরোয়াবাজ বাইক চালকদের দাপট রুখতে ট্র্যাফিক বিভাগের তরফে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

বৃহস্পতিবার থেকেই এই নাম্বার চালু করা হয় পুলিশের তরফে। ডিসি ট্র্যাফিক অভিষেক গুপ্তা আরও জানান রাস্তায় বা বাড়ি থেকে এধরনের বিকট শব্দের বেপরোয়া বাইক চালকদের চিহ্নিত করে বাইকের ছবি বা ভিডিও করে সরাসরি এই হোয়াটস নাম্বারে অভিযোগ জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ছবি বা ভিডিওতে বাইকের নাম্বার স্পষ্ট থাকবে। এতে সহজেই বাইক চালকের পরিচয় জানা যাবে। দ্রুততার সঙ্গে অভিযুক্ত বাইক চালকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। অভিযোগকারীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে মাথায় রেখে তাদের নাম পরিচয়ে গোপন রাখা হবে। পুলিশের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছে শিলিগুড়িবাসী।

 

আম সাধারণের মন্তব্য বেপরোয়া বাইক চালকদের যারা সমস্যা তৈরি হয় তার প্রতিবাদ করলেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হেনস্থার শিকার হতে হয়। এই নাম্বার চালু করায় অত্যন্ত সুবিধা হয়েছে। এছাড়াও ট্র্যাফিক পুলিশের লাগাতার অভিযান চলছে। ডিসি ট্র্যাফিল জানান একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে চলা বাইকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে আগামীতে সম্পূর্ণভাবে ট্র্যাফিক সংক্রান্ত সমস্যা,অভিযোগের হেল্পলাইন হিসেবে এই নাম্বার কার্যকরী করা হবে।

 

ট্রাফিক নিয়ম লংঘন সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ এই নম্বরের পরবর্তীতে জানাতে পারবেন সাধারন মানুষ। প্রথম পর্যায়ে কারসাজিপূর্ণ বিকট শব্দের সাইলেন্সার যুক্ত বাইকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বেশকিছু গ্যারেজ ও ওয়াকশপে হানাদারি চালিয়ে এ ধরনের কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি শিলিগুড়ি শহরের সম্পূর্ণ ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সু পরিকল্পিতভাবে পরিচালনার জন্য টোটো অটো সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক, নয়া সিগন্যাল পয়েন্টের সংযোজন, রোড মার্কিং, পর্যাপ্ত গ্লোলাইট লাগানোর কাজ চলছে শহর জুড়ে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top