শর্মা বাড়ির দুর্গাপুজো “বুড়ো মা”-র পুজো নামে বিখ্যাত কেন?

শর্মা বাড়ির দুর্গাপুজো “বুড়ো মা”-র পুজো নামে বিখ্যাত কেন?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
বিখ্যাত

শর্মা বাড়ির দুর্গাপুজো “বুড়ো মা”-র পুজো নামে বিখ্যাত কেন?  চারিদিকে পুজো- পুজো আমেজ, কেনাকাটা, প্ল্যানিং সবকিছু রয়েছে একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়। অতিমারীর মধ্যেই গত বছর বাড়িতে এসেছিলেন উমা। দশমীতে বিষন্ন মনেই সকলে বিদায় জানিয়েছেন ঘরের মেয়েকে। অষ্টমী হোক কিংবা মায়ের নিরঞ্জনের সময়, সকলের প্রার্থনা ছিল “মাগো আসছে বছর যেন সব মঙ্গলময় থাকে। সে আশায় বাধ সেধেছে মানবজীবনের এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় ভিলেন করোনাসুর।

 

যাই হোক তারই মধ্যে আবার এসেছে পুজো আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। বাঙালিদের কাছে দুর্গা পুজো এমন একটা উৎসব যেটা বহু বিচ্ছিন্ন বাঙালি পরিবারকেই একসঙ্গে মিলিয়ে দেয়। সারা বছর যেসমস্ত পরিবারের সদস্যদের দেখা পর্যন্ত হয় না, তাঁদেরকেও মিলিয়ে দেয় এই দুর্গা পুজো। ঠিক তেমনই দেখা যায়।

 

রানাঘাটের শর্মা বাড়ির দুর্গা পুজোতে। রানাঘাটের বনেদি বাড়ির দুর্গা পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দুর্গাপুজোরানাঘাট শর্মা বাড়ির দুর্গাপুজো। শর্মা বাড়ির দুর্গাপুজো “বুড়ো মা”-র পুজো নামে বিখ্যাত। ৭৫৯ বছরের প্রাচীন এই “বুড়ো মা”পুজো। 1262 খ্রিস্টাব্দে এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন রামকুমার চক্রবর্তী।

 

আর ও  পড়ুন    দীঘা বকখালি জুড়ে প্রবল জলোচ্ছাসের সঙ্গে চলছে নাগাড়ে বৃষ্টি

 

তিনি নিজে দুর্গাপুজো করতেন। সেবছর রামকুমার চক্রবর্তী পদব্রজে রাঢ়বঙ্গ ভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন। ফেরার সময় তিনি অধুনা ব্রহ্মডাঙ্গা বর্তমান রানাঘাটে পৌঁছান। তখন তিনি দেখতে পান শরতের আকাশে মায়ের আগমনী সুর বেজে উঠেছে। দুর্গা পুজোর সময় হয়ে এসেছে।

 

কথিত আছে, সেই সময় তিনি মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে পাঁচ বাড়ি ভিক্ষা করে রানাঘাটে দুর্গাপুজো করেন। সেই থেকেই মাদুর্গা রানাঘাটে “বুড়ো মা” নামে পুজিত হয়ে আসছেন। শোনা যায়, নদীয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতায় এই পুজো ব্যাপ্তি লাভ করে।উল্টোরথের দিন পাটে সিঁদুর দিয়ে দেবী প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু হয়। চতুর্থীতে পাটে ওঠেন “বুড়ো মা”। পঞ্চমীতে মাকে গহনা পরানোর পর ষষ্ঠী থেকে শুরু হয় পুরোদমে পুজো।

 

নয় রকমের ভাজার সঙ্গে প্রতিদিনই মাকে নিবেদন করা হয় বিভিন্ন রকমের ভোগ। প্রতিদিনই এই পুজোয় উপস্থিত থাকে হাজার হাজার মানুষ। দুর্গাপুজোর সময় দেশ-বিদেশ থেকে এখানে আসেন তাঁর ভক্তরা। জাগ্রত দেবীর কাছে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হলে ভক্তরা দেবীর সামনে ধুনো জ্বালায়। প্রাচীন প্রথা মেনে অহংকার নিবৃত্ত করার জন্য নবমীর দিন “কাদা খেলা” হয়। দশমীর দিন প্রান্ত ভোগ,কচুর শাক আর কলার বড়া খেয়ে”বুড়ো মা” এক বছরের জন্য বিদায় নেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top