ফালাকাটা : ফালাকাটার মধ্য দেওগাঁও দক্ষিণ পাড়ায় মুজনাই নদী গ্রাস করছে বিঘার পর বিঘা জমি, দিশেহারা গ্রামবাসীরা। বর্ষাকালে বৃষ্টির জেরেই হতো নদী ভাঙ্গন কিন্তু এখন শুধু বর্ষাকালেই নয় বসন্তকালেও নদী ভাঙনে মাথায় হাত গ্রামবাসীদের। এরমধ্যেই ভিটেমাটির মায়া ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গিয়েছে প্রায় পনেরটি পরিবার ।
ভাঙনের মুখে আরো বেশকিছু বাড়ি । পাড়ভাঙন রোধে ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে বালি ভর্তি বস্তা দিয়ে বাঁশের আড় বাঁধ দেওয়া হয়েছিল বহুদিন আগে। কিন্তু সেটা যে পর্যাপ্ত নয় সেটা স্বীকার করে নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মোঃ বাবুমনি বলেন, “এই এলাকার ভাঙন রোধে প্রয়োজন, স্থায়ী পাথরের বাঁধ। আর সেটা নির্মাণ করতে পারে সেচ দপ্তর।বিষয়টি একাধিকবার সেচ দপ্তরের নজরে আনা হয়েছে”।
পূর্বতন জেলা পরিষদের সদস্যা শেফালী নট্ট জানিয়েছিলেন, মুজনাই নদী ভাঙ্গনের পাড় বাঁধের কাজটি আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদে পাশ হয়ে রয়েছে।অর্থের অভাবে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।তবে সেই অর্থের অভাব আজও ঘোচেনি বলে জানান বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্যা তনুশ্রী রায়।সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে নদী ভাঙ্গন রোধে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।এবারে কাজ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে বর্ষার আগে পাড়বাঁধ নির্মানের দাবি জানাচ্ছেন তৃণমূলের দেওগাঁও অঞ্চল উত্তর অংশের যুব সভাপতি এনামুল হক। এলাকার চাষীদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে বহুবার আবেদন নিবেদন করে আসলেও প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি।
