বিজয়া দশমীর দিন পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে মানুষের ঢল। সপ্তমী থেকে দশমীর দিন সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গো উৎসবে আনন্দে কিছুটা ভাটা পড়ে। তবে সবকিছুকে দূরে সরিয়ে রেখে রাস্তায় নেমেছিল সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির ফলে অনেকেই বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি মন্ডপ ও প্রতিমা দর্শন করতে ।
তাই বিজয়া দশমীর দিন শেষ বেলায় বুধবার বিকেলে আকাশ একটু পরিষ্কার হতেই রাস্তায় নামলো মানুষের ঢল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর দুর্গা পুজো কমিটির পূজো মণ্ডপে এবং রাঙ্গামাটির সার্বজনীন দূর্গা পূজা কমিটির পূজা মন্ডপের সামনে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো । ভিড় সামলাতে যেমন হিমশিম খেতে হচ্ছে পুজা কমিটির সদস্যদের ,তেমনি পুলিশ পুলিশ কর্মীদের। আকাশ পরিস্কার থাকলে মানুষ সারারাত রাস্তায় থাকবে প্রতিমা দর্শনের জন্য। কারণ সারা বছর সবাই অপেক্ষা করে থাকে এই দিনটার জন্য ।
আরও পড়ুন – দখলে থাকা ইউক্রেনের লিমান শহর থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলো রুশ সেনারা
কিন্তু বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কিছুটা হলেও দুর্গা পূজার আনন্দ ম্লান হয়ে যায় । কিন্তু উৎসব প্রিয় বাঙালি বাড়িতে বসে থাকতে নারাজ। তাই বৃষ্টি কমার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছে। মেদিনীপুর শহরের পাশাপাশি খড়গপুর শহর ছাড়াও দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, গড়বেতা, গোয়ালতোড় ,চন্দ্রকোনা রোড, শালবনি ,দাঁতন ,নারায়ণগড়, বেলদা, কেশিয়াড়ি, মোহনপুর সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি এলাকায় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দশমীর দিন মানুষ প্রতিমা দর্শনে রাস্তায় নেমে পড়েছে।
পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপে মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে। ঝাড়গ্রাম শহরের পাশাপাশি গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম , সাঁকরাইল, লালগড় ,জামবনি ,বেলপাহাড়ি এলাকায় সব কিছুকে দূরে সরিয়ে রেখে বুধবার বিকেল থেকেই পূজা মন্ডপ গুলিতে মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে। তাই পূজা মন্ডপ গুলিতে প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।