বিজেপির বিকল্প তৃণমূল, বোঝালেন মমতা। বিজেপি–র বিকল্প হয়ে ওঠাই লক্ষ্য তৃণমূলের। সোমবার আরও একবার গোয়ায় দাঁড়িয়ে সাফ বললেন মমতা ব্যানার্জি। শুধু যে এসব কথার কথা না, তাও প্রমাণ হল আরও একবার। মমতার উপস্থিতিতেই গোয়ায় তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আলেমাও চার্চিল।
আগামী বছর গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বেশ কোমর বেঁধেই মাঠে নামছে তৃণমূল। ক্রমেই সংগঠন বাড়াচ্ছে গোয়ায়। এই নিয়ে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার গোয়া গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। এর আগের বার তাঁর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো। কংগ্রেস ছেড়ে এসেছিলেন তিনি। নাফিসা আলি, লিয়েন্ডার পেজের মতো সেলেবরাও যোগ দেন তৃণমূলে।
এবার এনসিপি বিধায়ক আলেমাও চার্চিল। গোয়ার রাজনীতিতে চার্চিলের প্রভাব যথেষ্ট। এই প্রভাবকেই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। এর আগেও আলেমাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়ে হাত ধরে। ২০১৪ সালে তৃণমূলে প্রার্থীও হয়েছিলে। সে বার তিনি হেরেছিলেন। এর পর তৃণমূল ছেড়ে তিনি যোগ দেন শারদ পওয়ারের এনসিপি–তে।
আর ও পড়ুন বড়দিনের আগে পর্যটকের ঢল নেমেছে নবদ্বীপ মায়াপুরে
এদিন সকালে গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে পৌঁছে যান মমতা। সেখানে সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পর যোগ দেন কর্মিসভায়। সেখান থেকেই মমতার সাফ কথা, ‘আমরা এখানে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগাভাগি করতে আসিনি। বিজেপি বিরোধী ভোট একসঙ্গে করতে এসেছি।’ গোয়ায় উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়, সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁদের পাশে নিয়েই মমতা বিরোধী জোটের বিষয়টিও স্পষ্ট করলেন।
এদিন মমতা জানিয়ে দিলেন, গোয়ায় বিজেপি– বিরোধী জোটে তাঁর আপত্তি নেই। কিন্তু রাশ থাকবে তৃণমূলেরই হাতে। তাঁর কথায়, ‘আর কেউ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে না। লড়াইটা করছি আমরাই। অন্যরা কেউ আমাদের সমর্থন করতে চাইলে স্বাগত। কিন্তু আপনাদের কথা শুনে বিজেপির সঙ্গে আধা–আন্ডারস্ট্যান্ডিং করতে পারব না।’ অভিষেক জানান, ‘আমরা এখানে দু’–চারটে আসন গড়তে আসিনি। সরকার গড়তে এসেছি।’