বিজেপি অভিষেক আতঙ্কে ভুগছে মন্তব্যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের

বিজেপি অভিষেক আতঙ্কে ভুগছে মন্তব্যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিজেপি অভিষেক আতঙ্কে ভুগছে মন্তব্যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের. বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যারাকপুরে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ সংগঠিত করা হয়েছিল। তারই পাল্টা হিসেবে ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে কেন্দ্রের জনবিরোধী নিতী ও বিজেপি সারকারের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে তৃনমূলের ব্যারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়।উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য, বনমন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক,সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক,কামারহাটির বিধায়ক তাপস রায়,বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়, পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী,

 

নোয়াপাড়ার বিধায়িকা মঞ্জু বসু, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, ব্যারাকপুর, নৈহাটি,টিটাগড়, উত্তর ব্যারাকপুর,বরানগর, উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান যথাক্রমে উত্তম দাস, অশোক চ্যাটার্জী,কমলেশ সাউ,মলয় ঘোষ,অপর্না মৌলিক,বিধান বিশ্বাস,জেলার মহিলা সভানেত্রী কেয়া দাস, সোনালী সিংহ রায় সহ জেলা স্তরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। বিজেপিকে তীব্র আক্রমন করে বনমন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক হয়। তেমনি ওরা অভিষেক আতঙ্কে ভুগছে। ৩৩-৩৪ বছরের একটা ছেলেকে মোকাবেলা করার ক্ষমতা ওদের দলের কারও নেই। ওর আতঙ্কে শুভেন্দুর রাতের ঘুম উবে গেছে।

 

এমনকি সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষরাও রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারেন না। তিনি আরও বলেন,বঙ্গ বিজেপি এখন তিনজন ফোঁড়েদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সেই রাজনৈতিক দল নাকি বাংলায় ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে ! ওরা যার সাথে লড়াই করছেন, তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত সমিহ করেন। মোদী ভাবেন, এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে কেউ যদি ওনাকে কাউন্টার করতে পারেন,তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনমন্ত্রীর আরও সংযোজন, বিজেপি আগে অভিষেকের সঙ্গে লড়াই করুক। ওই ওদেরকে শেষ করবে। বিজেপি ধ্বংশ হবে। তার ব্যাঙ্গ,যে রাজনৈতিক দল গুছিয়ে কাজই করতে পারে না। তারা নাকি আবার বাংলা দখল করবে !

 

এদিন চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি দাঙ্গাবাজ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারি দল। মানুষ ওদের মেনে নেয়নি বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্যে ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ড্যেঙ্গু নিয়ে গেরুয়া শিবিরের আক্রমন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীর তোপ,ড্যেঙ্গু কি শুধু বাংলায় হচ্ছে। অন্য কোন রাজ্যে হচ্ছে না ? রাজ্য সরকারের তরফে এই রোগ প্রতিরোধে সমস্ত রকম আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডেপুটেশন দিলেই ড্যেঙ্গু চলে যায় না। ওদের বাক্যগুলোই ড্যেঙ্গূ বহন করে নিয়ে আসছে। গেরুয়া নেতাদের ভাষার কোন সংযম নেই। ওরা গেরুয়াটাই পড়ে,ত্যাগটা নেই। অভিষেককে নিয়েই ওদের যত মাথা ব্যাথা। এর থেকেই প্রমানিত ও অনেক পরিনত হয়েছে। তাই ওরা ওকে গালিগালাজ করছে।

আরও পড়ুন – তৃণমূলের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।

এদিনের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের করা সরকার কাঁপতে শুরু করেছে মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন,এর আগেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও একাধিক বার এই মন্তব্য শোনা গিয়েছিল। ডিসেম্বর তত্ব নিয়ে সাংসদের দাবি,ডিসেম্বর মাসে কি আসবে,সুনামী নাকি ভুমিকম্প ! যাই আসুক না কেন, তা রোখার জন্যে তৃনমূলের কর্মীরা তৈরি আছেন। ওরা দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতেই গিমিক রাজানিতীর মাধ্যমে ভোকাল টনিক দিচ্ছে। ডিসেম্বর মাসে সুকান্ত মজুমদারকে সরিয়ে শুভেন্দুর রাজ্য সভাপতি হবার সম্ভাবনা প্রবল। এটা যদি কাঁপুনি হয় তাহলে বিজেপি মুর্খের স্বর্গে বাস করছে।

 

সাংসদের দাবি,ইডি, সিবিআই দিয়ে তৃনমুলকে দমিয়ে রাখা যাবে না। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়তে তৃনমূল কংগ্রেস প্রস্তূত আছেন। কামারহাটির জনপ্রিয় বিধায়ক মদন মিত্রে কথায়, এবারের পঞ্চায়েতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। কাস্তে ও কোদাল দেওয়া প্রসঙ্গে মদনের তির্যক মন্তব্য, চাষিরা নিজেদের জমি নিজেরাই রক্ষা করবে,এটা কি অন্যায়। তাই জমি রক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই কোদাল ও কাস্তে দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। তবে এটা নির্বাচনের জন্য নয়। তার দাবি,বাংলায় এখন একটাই কমোনিটি,সেটা তৃনমূল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top