কলকাতা – বেলঘরিয়া, নিমতার তরুণ প্রতিভা উজ্জ্বল অধিকারী আবারও প্রমাণ করলেন—বাঙালি সব পারে। ভারতের গর্ব এই বিজ্ঞানী ও শিল্পী এবার চলচ্চিত্র জগতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং ও অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে গবেষণার পাশাপাশি তিনি পরিচালনা করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দেয়ালের ওপারে’, যা মুক্তি পেয়েছে ৩১শে আগস্ট, ২০২৫-এ। ছবিটি ইতিমধ্যেই দাদাসাহেব ফালকে ইন্টারন্যাশনাল মুম্বাই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মনোনীত হয়েছে। পাশাপাশি এটি রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট–এর অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়ে বিপুল দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
একই দিনে ব্যাঙ্গালোরে প্রকাশিত হয় উজ্জ্বল অধিকারীর নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতায় পদার্থবিদ্যা’, যেখানে তিনি পদার্থবিজ্ঞানের ষাটটি জটিল তত্ত্বকে কবিতার ছন্দে রূপ দিয়েছেন। বইটির মূল উদ্দেশ্য—বিজ্ঞানকে ভয়ের বিষয় না ভেবে ভাবনার সৌন্দর্যে রূপান্তর করা, যাতে ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ পাঠক উভয়েই সহজে ফিজিক্সকে ভালোবাসতে পারে। বর্তমানে বইটি Amazon এবং Flipkart–এ পাওয়া যাচ্ছে।
তাঁর আরও দুটি কাব্যগ্রন্থ ‘দুঃখবিলাসী’ এবং ‘কবিতার মৌসুম’ একই দিনে প্রকাশিত হয়। সাহিত্যজীবনের পনেরো বছরে উজ্জ্বল অধিকারী লিখেছেন ২০০–রও বেশি কবিতা, যা প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ও বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকায়।
২০২১ সালে তিনি গড়েছিলেন বিশ্বরেকর্ড—বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ চার্টার্ড এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। পরের বছর, ২০২২–এ পান NASA Citizen Scientist–এর স্বীকৃতি। ২০২৫ সালে তাঁর চলচ্চিত্র ‘দেয়ালের ওপারে’ ও কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতায় পদার্থবিদ্যা’ দেশ–বিদেশে প্রশংসা ও পুরস্কার অর্জন করেছে। তাঁর বহুমুখী অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন Golden Book Award 2025, বিদ্যারত্ন সম্মানসহ একাধিক জাতীয় স্বীকৃতি।
উজ্জ্বল অধিকারী বলেন, “সাফল্য আসে কেবল অধ্যবসায় ও নিরন্তর সাধনার মাধ্যমে। বিজ্ঞান ও শিল্প — এই দুইয়ের সংযোগেই আমি আমার পথ খুঁজে পাই।”
বাংলা তথা ভারতের তরুণ প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল অধিকারী আজ এক অনুপ্রেরণার নাম — যিনি বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সিনেমাকে এক সেতুবন্ধনে যুক্ত করেছেন নতুন দিগন্তে।
