বিজয় উল্লাস নয়, নাগরিক উপস্থিতিকেই গুরুত্ব দিয়ে সফর শুরু করতে চাইছে তৃণমূল

বিজয় উল্লাস নয়, নাগরিক উপস্থিতিকেই গুরুত্ব দিয়ে সফর শুরু করতে চাইছে তৃণমূল

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিজয় উল্লাস নয়, নাগরিক উপস্থিতিকেই গুরুত্ব দিয়ে সফর শুরু করতে চাইছে তৃণমূল। সবুজের সমারোহে নাগরিক উপস্থিতিতেই হতে পারে শিলিগুড়িতে মহকুমার পরিষদের শুরুর যাত্রা। বিজয় উল্লাস নয়, নাগরিক উপস্থিতিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। ৩৩বছরের বাম দাসত্ব মুক্ত মহকুমার ঐতিহাসিক মুহূর্তকে পুরনিগমের ধাঁচেই বর্ণাঢ্য নাগরিক সমারোহে উদযাপন করতে পারে তৃনমূল।শিলিগুড়ি জুড়ে এখনও সবুজ আবিরের গন্ধ ভাসছে বাতাসে।

 

সদ্য শিলিগুড়ি মহকুমায় প্রায় বিরোধীদের শূন্য করে মহকুমা পরিষদের নয়টি আসনের মধ্যে আট আসনেই জয় হাসিল করেছে তৃনমূল। যা এই মুহূর্তে মহকুমার পাশাপাশি শহরবাসী কাছে চর্চার মুখ্য বিষয়।এই বিরাট জয়ের চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে রয়েছে চায়ের দোকানে জমে ওঠে আড্ডা থেকে অফিস কাছাড়ি থেকে গৃহিনীর রান্নাঘর পর্যন্ত।

 

তাই সফর শুরুর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের পথে আরও এক মাইলস্টোনকে উদযাপন করার দাবি উঠছে তৃনমূল নেতা কর্মী থেকে শহর ও ব্লকের জনগণকে মধ্যেও।পঞ্চায়েত সমিতি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে মহকুমা পরিষদের সভাধিপতির শপথ গ্রহনকে সবুজের জয়যাত্রা হিসেবে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছে ব্লক নেতা ও কর্মীরা। কারন তাদেরইতো দিন রাত এক করা মেহনত রয়েছে। তবে দলের সাফ নির্দেশ কোনো বিজয় উল্লাস মাতোয়ারা নয়, মানুষের কাজে ঝাপাতে হবে। যদিও কর্মীদের হালকা মন কেমনে কারন বুঝেই দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী বিষয়টি নিয়ে দলের সঙ্গে অলোচনা শুরু করেছেন। দার্জিলিং জেলা তৃনমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন জয়ের পর বিজয় উল্লাস নয়, মানুষের কাছে মাথা নত করে পৌঁছনোর কথাই বলেছি।

আরও পড়ুন – কাঁথি পুরসভা ডেপুটেশন দিতে এসে কাউন্সিলরের হাতে শ্লীলতাহানি শিকার এক মহিলা

সরাসরি মানুষের কাজে ঝাপাতে হবে এখন। তবে এই জয় মানুষের ফলত স্বাভাবিক ভাবেই শিলিগুড়ি মহকুমার শপথ গ্রহনের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চাইছে আমজনতা। তাই বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে, শিলিগুড়ি পুরনিগমে মহকুমার শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ব্লক ভিত্তিক নাগরিক সংবর্ধনা বা সম্মেলন করা যায় কিনা দলের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এসবের উপর সেভাবে এখনই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সরকারী বিজ্ঞপ্তি জারি হলে শপথ গ্রহণ করে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরুর লক্ষ্যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক ভোটে এই জয় এনে দেওয়ার জন্য মানুষের কাছে গিয়ে নতমস্তকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন নির্বাচিত প্রার্থীরা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top