বিতর্ক উড়িয়ে বিধায়কের উদ্যোগে রাজা রাণীর মূর্তি বসল কার্জন গেটে। সীতাভোগ মিহিদানা এই জোড়া মিষ্টান্ন যেমন বর্ধমানের ঐতিহ্য ও পরিচিতিকে তুলে ধরে, তেমনি স্থাপত্যের দিক থেকে একটি তোরনও বর্ধমানের গৌরবময় ইতিহাসকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। তা হ’ল ‘কার্জন গেট’। বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত এই তোরন লর্ড কার্জনের সম্মানে তৈরি করেছিলেন মহারাজ বিজয়চাঁদ। তাই এই কার্জন গেটকে ঘিরে বর্ধমানের ইতিহাসের গল্প এখনও পর্যন্ত তরতাজা।
সম্প্রতি বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস শহরকে আরও সুন্দর ও আকর্ষনীয় হিসাবে তুলে ধরতে কার্জন গেটে রাজা রানীর মূর্তি বসানোর উদ্যোগ নেন। এই নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হলেও শনিবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানে ঐতিহ্যবাহি কার্জন গেটের সামনের দুইপাশে বসানো হ’ল রাজা রানীর মূর্তি। মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠান উপলক্ষে এদিন উপস্থিত ছিলেন বর্ধমানের রাজার বংশধর জয় চাঁদ মহতাব , মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, বিধায়ক খোকন দাস সহ অন্যান্যরা। মূর্তি দুটো উদ্বোধন করেন রাজা জয়চাঁদ মহতাব।
আরও পড়ুন – চরম উত্তেজনা ক্ষীরপাই পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডে
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, মূর্তি দুটি স্থাপন করে একটি নয়া ইতিহাস স্থাপন হলো বর্ধমানে। রাজাদের কীর্তি এখন বর্ধমানবাসি ভুলতে বসেছে তাই পুনরায় সেটি স্মরণ করিয়ে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিধায়ক খোকন দাস বলেন, গত চার মাস ধরে শহরের সৌন্দর্যায়ন চলছে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে কার্জন গেটের রাজা রানীর মূর্তি স্থাপন করা হলো। বিরোধিরা দাবি করছেন এতে কার্জন গেটের ঐতিহ্য নষ্ট হতে পারে। কিন্তু সমস্ত ইতিহাসবিদদের সাথে পরামর্শ করেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তাই এতে বর্ধমানের ঐতিহ্য নষ্ট হবে না বরং তা বৃদ্ধি পাবে বলেই জানিয়েছেন খোকনবাবু। বিতর্ক উড়িয়ে