দেশ – সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে চাপ তৈরির লক্ষ্যে বিরোধীরা একাধিক বিতর্কিত ইস্যুতে কৌশল নির্ধারণ করে ফেলেছে। বিদেশনীতি, নিরাপত্তা, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাকে সামনে রেখে অধিবেশন উত্তপ্ত হতে চলেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
সরকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে বিরোধীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য, বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন, পহেলগাম হামলার নিরাপত্তা ত্রুটি এবং এয়ার ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনাকে প্রধান ইস্যু হিসাবে তুলে ধরতে চায়।
প্রথম দিনই সংসদে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অধিবেশন চলাকালীন কী কী বিল পেশ ও পাশ করাতে চায় সরকার, তার রূপরেখা তুলে ধরবেন তিনি। উল্লেখ্য, এই অধিবেশন হচ্ছে ২২ এপ্রিল পহেলগাম হামলা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথম। ফলে এ দুটি বিষয় আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে।
সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীরা ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সাফ জবাব দাবি করেছে। ট্রাম্পের মন্তব্যের ব্যাখ্যা, পহেলগাম হামলার ব্যর্থতা এবং বিহারে ভোটার সংশোধন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আহমেদাবাদের এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনাতেও বিরোধীরা কেন্দ্রীয় সরকারের দায় নির্ধারণ চায়, যদিও আন্তর্জাতিক রিপোর্টে দায় পাইলটদের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলবেন না বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। কারণ, সপ্তাহের শেষে তাঁর ব্রিটেন ও মালদ্বীপ সফরের কর্মসূচি রয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, সরকার ‘অপারেশন সিঁদুর’-সহ সব ইস্যুতে আলোচনায় প্রস্তুত। ট্রাম্প-সম্পর্কিত মন্তব্য নিয়ে তিনি কিছু জানাননি।
এই অধিবেশনে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার অভিশংসনের প্রস্তাবও উঠে আসতে পারে। ইতিমধ্যেই ১০০ জন সাংসদের স্বাক্ষর সংগৃহীত হয়েছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় সকল সদস্যকে গঠনমূলক আলোচনা ও ভদ্র আচরণের আবেদন জানিয়েছেন।
অধিবেশনে মোট ১৭টি বিল উত্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মণিপুর জিএসটি বিল, কর আইনের সংশোধনী, জন বিশ্বাস বিল, জাতীয় অ্যান্টি-ডোপিং বিল এবং ভূ-ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিল।
এই ৩২ দিনের মধ্যে ২১টি অধিবেশন বসবে এবং অধিবেশনের শেষ দিন ২১ আগস্ট। রাজনৈতিক উত্তাপের কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে সংসদ ভবন।
