বিদ্যুৎ সংযোগ নেই মিটারে, বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ-এর বিল, ভুয়ো বিল থেকে রেহাই পেতে মিটার খুলে নেওয়ার আর্জি। বিদ্যুৎ সংযোগ নেই মিটারে, বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ-এর বিল।
মিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার পরেও বছরের পর বছর বিল আসায় বাড়ছে মানসিক চাপ। ভুয়ো বিল থেকে রেহাই পেতে মিটার খুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েও হয়নি কাজ। অগত্যা সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ মহিলা। এই ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের। বালুরঘাটের ১৩নং ওয়ার্ডের চকভৃগু এলাকায় বাস করেন কঙ্কনা দে। এক সদস্যার পরিবারে বাস করা কঙ্কনা দে আয়ার কাজ করে সংসার চালান।
কঙ্কনা দে-র বক্তব্য তার করা আবেদনের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি লিমিটেড ২০১৫ সাল নাগাদ তার বাড়িতে বিদ্যুৎ-এর মিটার লাগিয়ে দেয়। তার এও বক্তব্য মিটার ঝুলিয়ে দিলেও তার বাড়িতে এখনও অবধি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। যেকারনে তিনি এখনও অবধি বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারলেও প্রতি ৩ মাস অন্তর তার বাড়িতে আসছে বিদ্যুৎ-এর বিল।
আরও পড়ুন – পথ দুর্ঘটনার কবলে বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু
বিদ্যুৎ-এর সংযোগ না দিয়েও কেন পাঠানো হচ্ছে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল তা জানতে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি লিমিটেডের বালুরঘাটের অফিসে গিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েও সমস্যার সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ কঙ্কনা দে-র। বিদ্যুৎ বিল পাঠানোর মানসিক চাপ থেকে রেহাই পেতে বিদ্যুৎ-এর আলো না জ্বলা পরিবারের সদস্যা কঙ্কনা দে-এর বর্তমানে একইটাই আর্জি মিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলেও মিটার থাকলে হয়ত আবার বিল পাঠাবে তাই তার বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ-এর মিটার খুলে নিয়ে যাক পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি লিমিটেড।
এই ঘটনা চাউড় হতেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি লিমিটেডের কার্যপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে ঘটনার খবর শুনে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি লিমিটেডের আঞ্চলিক ম্যানেজার দীপঙ্কর দাস। তিনি জানিয়েছেন অতি শীঘ্রই সরজমিনে পরিদর্শন করে সমস্যা খতিয়ে দেখে সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা হবে।