কলকাতা – আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে ফের জোট নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে বামফ্রন্টের অন্দরে। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হবে কি না, তা নিয়ে বামফ্রন্টের শরিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবারের বামফ্রন্ট বৈঠকে এই মতপার্থক্য স্পষ্টভাবে সামনে আসে, যা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর জন্য নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০২১ সালের বিধানসভা এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও একটিও আসন জিততে পারেনি বামফ্রন্ট। সেই ব্যর্থতার পর থেকেই শরিক দলগুলোর একাংশ কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করার পক্ষে সওয়াল করছে। বৈঠকে ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি পুরোনো ১৯৭৭ সালের আসন বণ্টন পুনরুজ্জীবিত করার দাবি জানিয়েছে। তারা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ঘোর বিরোধিতা করছে। ফরওয়ার্ড ব্লক তাদের পুরোনো ৩৪টি আসনে এবং আরএসপি ২৩টি আসনে প্রার্থী দিতে আগ্রহী।
অন্যদিকে, সিপিআই কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিয়েছে। তাদের মতে, কংগ্রেস যদি জোটে আসতে চায়, তবে তাদের স্বাগত জানানো যেতে পারে, তবে সিপিআইকে আরও বেশি আসন দিতে হবে। নিজেদের সিপিএমের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি দাবি করে সিপিআই অভিযোগ করেছে যে ১৯৭৭ সালের পর থেকে তাদের প্রাপ্য আসন দেওয়া হয়নি।
তবে, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এই বিষয়ে বৈঠকে কোনো মন্তব্য করেননি। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বৈঠকে সব শরিকদের বক্তব্য শোনার পর জানান, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। তাঁর এই মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, বামফ্রন্ট এখনই কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা পুরোপুরি বাতিল করছে না।
এদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের সাম্প্রতিক মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনা তৈরি করেছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের কর্মীরা চান কংগ্রেস ২৯৪টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। ফলে শেষ পর্যন্ত বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা হবে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তীব্র হচ্ছে।




















