মালদা-এলাকায় নিয়মিত থাকেন না বিধায়ক। বেশিরভাগ সময় নিজের ইংরেজ বাজারে। মানুষের দুঃখ কষ্ট শোনেন না। অসহায় বৃদ্ধা সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রশাসনিক দপ্তরে ঘুরে ঘুরে জুতার শুকতার ক্ষয়ে গেছেl এবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির সামনে পোস্টার হাতে ধর্নায় বসলেন ওই বৃদ্ধা। দীর্ঘ চার ঘন্টা ধরে ধর্নায় অসহায় বৃদ্ধা। কিন্তু একটি বারের জন্য কি দেখা করলেন বিধায়ক? এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার চাঁচলে। ঘটনার সামনে আসতে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।
চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ। চাঁচলের শিশির কলোনিতে রয়েছে বিধায়কের বাসভবন। এবার সেই বাসভবনের সামনে ধরনায় বসলেন অসুস্থ এক অসহায় মহিলা। অসহায় মহিলার নাম সাবেরা বেওয়া। স্বামী মারা গিয়েছেন, সন্তান থেকেও নেই।
একাকী অসহায় বৃদ্ধা, চাঁচল হরিশ্চন্দ্রপুর জাতীয় সড়কের ধারে ভগ্নপ্রায় কুটিরে বাস করে। রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত অসহায় একাকী মহিলা। লক্ষীর ভান্ডার, বিধবা ভাতার জন্য একাধিকবার আবেদন করার পরেও মেলেনি ভাতা। ব্লক প্রশাসনিক দপ্তর হোক কিংবা বিধায়কের কাছে দরবার করতে করতে জুতার শুকতারা খুইয়েছেন কিন্তু একটি বারও কেউ এগিয়ে আসনি বলে অভিযোগ। শেষমেষ এবার পোস্টার হাতে নিয়ে বিধায়কের বাড়ির সামনে ধরনাই বসলেন অসহায় মহিলা।
পোস্টারে লেখা রয়েছে বিধায়ক আমাকে ভাতা দিন, আমাকে ঘর দিন। বৃদ্ধার অভিযোগ, বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষের দেখা পাওয়া যায় না। যখনই আসি তখনই বাড়িতে তালা ঝোলা। এদিকে তৃণমূল বিধায়কের এই আচরণে অসন্তুষ্ট তৃণমূলের ব্লক সভাপতি।
