বিপ্লব ছেড়ে কেন মানিকে আস্থা বিজেপির? গত শনিবার কার্যকাল একবছর বাকি থাকতেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিপ্লব দেব। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন দলের নির্দেশেই তিনি একাজ করেছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ তড়িঘড়ি করে সরানো হল বিপ্লব দেবকে? কেনই মানিক সাহার উপরেই আস্থা রাখল বিজেপি? এই একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
এই বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বিপ্লব দেবের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলো বিজেপি। যে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন মানিক সাহা। এর পিছনে অন্যতম কারণ হল বিপ্লব দেব জনসংযোগ হারাতে শুরু করেন। এই প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথা উল্লেখ না করলেই নয় তা হল কলেজের অনুষ্ঠানে গিয়ে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল বিপ্লব দেবকে। শেষ চার বছরে ত্রিপুরায় বেকারত্ব, পোস্ট পোল ভায়োলেন্স, ভোট দানে বাধা ও অনুন্নয়নের প্রশ্নে বিজেপি কোণঠাসা। এতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ন ভূমিকা রয়েছে বিপ্লব দেবের। এমনই দাবি দলের।
আর ও পড়ুন অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ আলিয়া ইউনিভার্সিটি পড়ুয়াদের
আবার অন্যদিকে, দলের নানা রকম গুরুত্বপূর্ণ দিক মানিক সাহা সামলালেও ‘কর্তৃত্ব’ ফলাতে চাইছিলেন বিপ্লব দেব। যা মেনে নিতে পারছিল না আদিবাসী উপজাতি। এর ফলে স্বশাসিত জেলা পরিষদের ভোটে বিজেপির খারাপ ফল হয়। উল্টো দিকে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মণের তিপ্রা মোথার উত্থান ঘটে।
আবার বিপ্লব দেবের বিভিন্ন সময়ের বিতর্কিত মন্তব্য যুব সমাজকে বিজেপি থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছিল বলে ধারণা দলের। তাই সব মিলিয়ে এক বছরে বিজেপির ‘হারানো’ জায়গা ফিরে পেতেই নতুন করে আস্থা রাখল মানিক সাহার উপরে।
উল্লেখ্য, বিপ্লব ছেড়ে কেন মানিকে আস্থা বিজেপির? গত শনিবার কার্যকাল একবছর বাকি থাকতেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিপ্লব দেব। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন দলের নির্দেশেই তিনি একাজ করেছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ তড়িঘড়ি করে সরানো হল বিপ্লব দেবকে? কেনই মানিক সাহার উপরেই আস্থা রাখল বিজেপি? এই একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।