এই মহিলা বিবাহিত পুরুষদের পছন্দ করেন, তিনি তাদের সাথে কি করতে পছন্দ করেন? বলা যায় এ যেন এক অদ্ভূত নেশা। অবিবাহিত পুরুষ তার না পছন্দ। শুধুমাত্র বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে অ্যাফেয়ার চালিয়ে যান এই মহিলা! কেন? সচারাচার দেখা যায়, বিবাহিত জীবনে প্রতারিত হওয়ার পর মানুষ সাধারণত ভেঙে পড়ে । কিছু লোক তাদের সঙ্গীকে ক্ষমা করেন এবং জীবনে নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আবার কিছু লোক এটিকে ভুলে যাওয়া এবং জীবনকে আলাদা করে বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে নেন।
তবে স্বামীর প্রতারণা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একজন মহিলা অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছেন। অনলাইন জগতের রিলেশনশিপ পোর্টালে মহিলা লিখেছেন, ‘আমার স্বামী খুব সুন্দর দেখতে ছিলেন এবং সবসময় আমার দিকে নজর রাখতেন। আমি ভাবতাম যে আমার বিবাহিত জীবন চমৎকার এবং আমাদের মধ্যে কোন সমস্যা নেই।
যাইহোক, আমার ভুল ভেঙে গেল যখন আমি তাকে পাড়ার এক মহিলার সাথে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত অবস্থায় ধরলাম। এটা দেখার পর আমি ভীষণভাবে ভেঙে পড়ি। তা সত্ত্বেও, আমি তাকে ক্ষমা করে আমার বিয়ে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিই, কিন্তু এই প্রচেষ্টাটাও কেবল ১৮ মাসের জন্য স্থায়ী হয়েছিল।
আর ও পড়ুন ৪ দিনের মার্কিন সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
এখন আমরা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে এই খারাপ সম্পর্কের প্রভাব শিশুদের ওপর না পড়ে।’ মহিলা আরও লিখেছেন, ‘আমার স্বামীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর, আমি ভেবেছিলাম যে এখন আবার ডেটিং করবো কিন্তু কারো সাথে আবেগের সম্পর্ক থাকবে না। আমি নতুন মানুষের সাথে দেখা করতাম কিন্তু আমি এতে খুশি ছিলাম না, তারপর একদিন আমি একটি ওয়েবসাইট পেলাম যা শুধুমাত্র বিবাহিতদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
এই ওয়েবসাইট বিবাহিতদের অ্যাফেয়ার চালানোর সুযোগ দেয়। ঠিক তার পরে আমি আর পেছনে ফিরে তাকাইনি।’ ওই মহিলার মতে, ‘যখন থেকে আমি এটিতে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছি, আমার জীবন বদলে গেছে। বর্তমানে আমি দুই বিবাহিত পুরুষের সাথে ডেট করছি।
এই মুহুর্তে, আমি কোনও সিরিয়াস সম্পর্কের মধ্যে যেতে চাই না এবং এখানে আমি কেবল মজা করার সুযোগ পেয়েছি। আমি আর কারও কাছ থেকে কিছু আশা করতে চাই না এবং এই ধরণের সম্পর্ক থেকে দূরে থাকতে চাই । আমি এখন শুধু ভাল সময় কাটাতে চাই।’
মহিলা শেষে লিখেছেন, ‘আমি মানুষের সঙ্গে থিয়েটারে যাই, ভালো লাঞ্চে যাই, পাঁচ তারা হোটেলে থাকি এবং শারীরিক সম্পর্কও করি। ই সমস্ত জিনিস আমাকে জীবনে বাঁচতে শেখায়। আর্থিকভাবে আমি আমার পায়ে দাঁড়িয়ে আছি, আমার নিজের বাড়ি এবং গাড়ি আছে। আমার খরচ বহন করার জন্য কোন বয়ফ্রেন্ডের প্রয়োজন নেই।
আমি আর কারো সাথে মানসিকভাবে সংযুক্ত থাকতে চাই না। সম্পর্কের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে কারো করুণার উপর নির্ভর করার পরিবর্তে, একটি নিয়ন্ত্রিত উপায়ে অ্যাফেয়ার চালাতে এটি আমাকে সাহস জোগায়।’ সাধারনট গতানুগতিক ধারার বাইরে বেরিয়ে ওই মহিলার জীবন যাপন স্বভাবতই অনেককে অবাক করে দিয়েছে। শুধুমাত্র স্বামীর অপর রাগের বশিভূত হয়েই মহিলার এই ধরনের সিদ্ধান্ত কার্যত বিরল বলা যেতেই পারে।