বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন মিলনের সম্পর্ককে কি ধর্ষণ বলা সাব্যস্ত?–এ প্রসঙ্গে ঠিক কি মত কেরল হাইকোর্টের। কেরল হাইকোর্টে দীর্ঘদিন ধরে এক ব্যক্তিকে ট্রায়াল কোর্ট প্রেমিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। এই মামলায় এর আগে ট্রায়াল কোর্ট ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করেছিল। এরপর ওই ব্যক্তি হাইকোর্টে এই দায়ের করা মামলার জন্য আপিল করেন। সম্প্রতি কেরল হাইকোর্ট এই মামলায় নিজের রায় শোনায়।
হাইকোর্ট তাঁর রায়ে জানায়, বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন মিলনের সম্পর্ককে তখনই ধর্ষণ বলে সাব্যস্ত করা হবে যখন অভিযুক্ত অভিযোগকারীর অসম্মতিকে লঙ্ঘন করবে। অথচ এই ঘটনায় অভিযোগকারীর পক্ষে এরকম কোনও প্রমাণ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলায় হাইকোর্ট অভিযুক্তকে বেকসুর বলে মুক্তি দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বিয়ের আগে প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন এবং বিয়ের কয়েকদিন আগে তাঁরা শারীরিক ভাবে মিলিত হন। আদালত জানায়, ওই ব্যক্তি তিন দফায় অভিযোগকারিণীর সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিত হন।
আর ও পড়ুন অ্যাসিড আক্রান্ত নদীয়ার ব্যবসায়ী, ঘটনায় গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত
এর পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে যে, ওই ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষার সদিচ্ছা ছিল। তিনি পুরোপুরি ভাবে বিয়ের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন, তাই শারীরিক ভাবে মিলিত হওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পরিবারের কারণে বিয়ের প্রতিশ্রুতি রাখতে অসমর্থ হন। বিবাহের পথে অন্তরায় হয়ে ওঠে তাঁর পরিবারের পণের চাহিদা যা পূরণ করা অভিযোগকারিণীর পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। পুরো ঘটনা খোলাসা হওয়ার পর আদালত অভিযুক্তকে বেকসুর প্রমান করেছে।
উল্লেখ্য, কেরল হাইকোর্টে দীর্ঘদিন ধরে এক ব্যক্তিকে ট্রায়াল কোর্ট প্রেমিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। এই মামলায় এর আগে ট্রায়াল কোর্ট ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করেছিল। এরপর ওই ব্যক্তি হাইকোর্টে এই দায়ের করা মামলার জন্য আপিল করেন। সম্প্রতি কেরল হাইকোর্ট এই মামলায় নিজের রায় শোনায়।