দিল্লি – দিল্লির লালকেল্লার কাছে ১০ নভেম্বরের ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রাণ হারান প্রায় ১৩ জন, গুরুতর আহত বহু মানুষ এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তদন্তে সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য—এই নাশকতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত জঙ্গি উমর মোহাম্মদ, যার পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন ‘জইশ-ই-মোহাম্মদ’-এর সঙ্গে যোগ মিলেছে। অভিযোগ, বিস্ফোরক বোঝাই i20 গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তিনিই, লালকেল্লায় পৌঁছনোর আগেই আচমকা ফেটে যায় বিস্ফোরক। তিনি এখনও বেঁচে আছেন নাকি দেহ ছিন্নভিন্ন হয়েছে—তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা।
এই বিস্ফোরণের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়েরও। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন চিকিৎসক-ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের পর এবার এনআইএ-র জালে আরও এক পড়ুয়া, যার সঙ্গে রয়েছে বাংলার সংযোগ। উত্তর দিনাজপুরের সূর্যাপুর বাজার এলাকা থেকে তাঁকে পাকড়াও করেছে এনআইএ। জানা গেছে, তিনি এখানে এসেছিলেন এক বিয়েবাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা ও বোন। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা।
তদন্তে উঠে এসেছে, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক পড়ুয়া ও চিকিৎসকের মাধ্যমে জঙ্গি উমর মোহাম্মদ বিস্ফোরক সংগ্রহ ও পরিবহনের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। সেই চক্রেরই অংশ ছিলেন এই ধৃত তরুণ। এনআইএ এখন পুরো নেটওয়ার্কের অর্থ যোগান, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্ভাব্য যোগ নিয়ে গভীর তদন্তে নেমেছে।




















