উত্তরপ্রদেশ – উত্তরপ্রদেশের বেরেলির দেবীপুরা গ্রামে বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ এক ঝটকায় পরিণত হল শোকস্তব্ধ মুহূর্তে। মাত্র ২০ বছর বয়সি শান্তি, যার সঙ্গে নবাবগঞ্জের অজয়বীরের বিয়ে নির্ধারিত ছিল, বিয়ের মিছিল আসার কয়েক ঘণ্টা আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তৎক্ষণাৎ তাঁকে বাহেরি শহরের শিফা হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু সেখানেই ঘটে যায় চরম ট্র্যাজেডি।পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের ডাক্তার তসলিম আহমেদ ওরফে ভুরার দেওয়া ভুল ইনজেকশন ও ড্রিপের কারণে শান্তির মৃত্যু হয়। শান্তির বাবা থান সিং জানান, “ডাক্তার বলেছিলেন, দুর্বলতার জন্য এমন হয়েছে, কিন্তু ওনার দেওয়া চিকিৎসার পরেই আমার মেয়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়।” হাসপাতাল থেকে বেরেলিতে রেফার করার পর পথেই শান্তির মৃত্যু ঘটে।
খবর পৌঁছতেই বর অজয়বীর ও বিয়ের মিছিল হতবাক হয়ে ফিরে যায়। বিয়ের সাজ, তাঁবু, ডিজে ও খাবারের আয়োজন মুহূর্তে পরিণত হয় নিস্তব্ধ শোকের আবহে।ঘটনার পর অভিযুক্ত ডাক্তার হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। বাহেরি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে। বাহেরি থানার ইনচার্জ রাজেশ কুমার জানান, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”শান্তির মৃত্যুর পর গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখিয়ে তাঁরা অভিযুক্ত ডাক্তারকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান। থান সিং অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, “আমরা বিয়ের আনন্দে মেতেছিলাম, কিন্তু একটা ভুল চিকিৎসা আমাদের জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনল।”
