বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস, প্রেমিকের বাড়িতে ধরণায় প্রেমিকা। নদীয়ার শান্তিপুর রামকৃষ্ণ কলোনী নিবাসী অজিত দাসের বাড়িতে সাত সকালে রিমাসূ নামে এক কুড়ি বছর বয়সী মহিলা হাজির হয়ে তার ছেলে অভিজিৎ দাসের স্ত্রীর বলে দাবি করেন। ওই মহিলা বলেন, অভিজিৎ বিগত সাত মাস ধরে তাকে ভালোবেসে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে এবং কৃষ্ণনগরের একটি হোটেল, নবদ্বীপের আরেকটি হোটেলে বেশ কয়েকবার তার সাথে সহবাস করেছে।
বিয়ের জন্য, জড়াজড়ি করতে থাকলে গতকাল থেকে সে ফোনের সুইচ অফ করে রেখেছে। বাধ্য হয়ে বাপের বাড়ি ছেড়ে সে আজ এই বাড়িতে চলে এসেছে। কিন্তু, অভিজিৎ-এর বাবা ও মা তাকে বাইরে ধরণা দিয়ে বসে থাকতে দেখে ঘরের তালা মেরে অনত্র চলে যায় বলে অভিযোগ। এলাকার বহু মানুষ তার ঘটনা শুনে প্রত্যেকেই পরামর্শ দেন শান্তিপুর থানায় বিষয়টি জানানোর জন্য।
এরপর শান্তিপুর থানায় ওই মহিলা একটি লিখিত অভিযোগ জমা করেন। কেস ডাইরিটি আদালতে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে প্রশাসনিক সূত্রে। এলাকা সূত্রে জানা যায়, ওই মহিলার বিগত দিনে একবার বিবাহ হয়েছিল এবং একটি ছোটো সন্তানও রয়েছে। অন্যদিকে, অভিজিৎ-এর একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করেন ওই মহিলা। তার দাবি, এভাবে প্রত্যেকে লোক লজ্জার ভয়ে পিছিয়ে আসলে ঘটনা আরও বাড়তে থাকবে। তাই, তার দাবি স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে।
জানা যায়, অভিজিৎ দাস শান্তিপুর হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার কাজ করে। অন্যদিকে রিমাসূ নামে ওই মহিলার বিএ দ্বিতীয় বছরের ছাত্রী। একটি কিঅক্স ব্যাংকে অস্থায়ী কাজ করেন। এদিনের ধর্নার সময় তার দাদু তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি। তার দাবি, অতীতে তার পরিবার প্রাপ্ত বয়স হওয়ার আগেই জোর করে তার বিবাহ দিয়েছিল। আর তার ফলেই এই সন্তান। স্বামীর অত্যাচারে বাধ্য হয়ে সে বাপের বাড়ি ফিরে আসে। যার ফলে তার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এখন সে সাবালিকা। আইনের সাহায্য নিতে থানায় বিচার চেয়েছেন তিনি। মহিলা জানান, গতকাল বাপের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। হবু শ্বশুরবাড়িতে মেনে না নিলে, তার আত্মহত্যা করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।