প্রয়াত বিশিষ্ট চিকিৎসক ড: বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী। ২৯ দিনের লড়াই শেষ। প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ড: বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী। ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াণ ঘটে ইনস্টিটিউট অফ রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিনের প্রতিষ্ঠাতার। সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১৫ এপ্রিল সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ভারতে কৃত্রিম উপায়ে প্রজজন এবং টেস্ট টিউব বেবি গবেষণা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভা গোটা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছিলেন এই বিশিষ্ট চিকিৎসক। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বিশিষ্ট চিকিৎসক সম্মানে সন্মানিত করা হয়। সল্টলেকে ইনস্টিটিউট অফ রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন নামের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন তিনি।
আর ও পড়ুন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রাণের ইছামতীর পাড়ে নববর্ষ পালন
১৭ মার্চ নিমুনিয়া নিয়ে তাকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই চালাচ্ছিলেন এই বর্ষীয়ান চিকিৎসক। মার্চ মাসে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে একের পর এক অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হতে থাকেন তিনি। বয়সজনিত রোগ জাঁকিয়ে বসে তার শরীরে। অবশেষে ১৫ তারিখ সকালে দেহ ত্যাগ করেন তিনি।
প্রয়াত ড: বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর ভাই অরুণ চক্রবর্তী জানান, ‘কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত একমাস তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। লড়াই করছিলেন। আজকে সকালে একটা অ্যাটাক হয়। তারপরই লড়াই শেষ হয়।’ বিশিষ্ট চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে চিকিৎসক মহলে। শোকবার্তা পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শোক বার্তায় লেখেন, ‘তাঁর মৃত্যুতে চিকিৎসক ও গবেষণা জগতের ক্ষতি হল। আমি ডা: বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। শুক্রবার দুপুরে দেহ তার বাসভবনে নিয়ে আসা হয়, সেখান থেকে সি আই টি রোডে তার পুরনো ক্লিনিকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে তার অনুরাগীরা শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সেখান থেকে তার দেহ শেষকৃত্যের জন্যে নিমতলা মহা স্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।