Deprecated: version_compare(): Passing null to parameter #2 ($version2) of type string is deprecated in /home/u517603494/domains/shinetv.in/public_html/wp-content/plugins/elementor/core/experiments/manager.php on line 170
ফুল (Flower) চাষের (Cultivation) সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

ফুল চাষের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

ফুল চাষের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
বিষয়

ফুল চাষের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন । বর্তমানে চাহিদার নিরিখে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফুল চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের ফুল জন্মে। এ সব ফুলের মধ্যে রয়েছে,- গোলাপ, গাঁদা, চামেলি, বেলি, জুঁই, শেফালি, রজনীগন্ধা, গন্ধরাজ, গ্লাডিওলাস, শেফালি, দোপাট্টি, হাসনা-হেনা, চন্দ্রমলি্লকা, ডালিয়া, রঙ্গন, দোলনচাঁপা, কনকচাঁপা, অপরাজিতা জবা, মালতি, কামিনী ইত্যাদি। কিছু কিছু ফুল আছে দীর্ঘজীবী এবং কিছু মৌসুমী। সব ফুলেরই বাণিজ্যিকভাবে প্রায় সমান গুরুত্ব রয়েছে। কিছু কিছু ফুল এমনিতেই জন্মে আবার। কিছু কিছু ফুলের চাষ করতে হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, রঙ্গন, গ্লাডিওলাস ইত্যাদি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে।

 

রোপণের সময়: অধিকাংশ ফুলের বীজ, চারা, কলম বা কন্দ অশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত রোপণের উপযুক্ত সময়।

 

 

জমি নির্বাচন: এমন জমি নির্বাচন করতে হবে যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস পায়। উঁচু দো-আঁশ মাটি ফুল চাষের জন্য উপযোগী। মনে রাখতে হবে, ফুল চাষের জন্য জমি নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাগানের আকার-আকৃতি মানানসই হলে ভালো দেখায়।

 

বেড়া দেয়া: গবাদি পশুর বা অবাঞ্ছিত আক্রমণ থেকে ফুল গাছকে বাঁচাতে হলে শক্ত বাঁশের বা কাঁটাতার বা লোহার বেড়া দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে গরু-ছাগল যেন সে বেড়া ভেঙ্গে না ফেলে।

 

আর ও পড়ুন      ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো

 

জমি তৈরি ও চারা রোপণ: জমির পরিমাণ বেশি হলে বিভিন্ন জাতের ফুলের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা ভাগ করে পরিকল্পনা মাফিক চারা রোপণ করতে হবে। কন্দ, চারা বা কলম রোপণের ২০ থেকে ২৫ দিন আগে জমি ভালোভাবে কুপিয়ে উপযুক্ত ও পরিমিত সার দিতে হবে। এসব সারের মধ্যে রয়েছে,- পচা গোবর, টিএসপি, হাঁড়ের গুঁড়া, এম.পি. ইউরিয়া, খৈল, চায়ের উচ্ছিষ্টাংশ, ছাই ইত্যাদি মিশিয়ে মাটি ঝরঝরে করতে হবে। সার প্রয়োগে জৈব সারের প্রাধান্য দেয়া উচিত। সব সময় স্বাস্থ্যবান ও নিরোগ চারা বা কন্দ লাগাতে হবে। চারা লাগিয়ে উপরে চাপ না দিয়ে পাশের মাটি চাপ দিয়ে শক্তভাবে চেপে দিতে হবে এবং প্রয়োজনমত জল দিতে হবে। চারাভেদে খুঁটি পুঁতে চারার গায়ে বেঁধে দিতে হবে।

 

ফুল গাছের বা বীজ যেখানে পাবেন: শহরে বা গ্রামে বর্তমানে ভালো নার্সারিতে উন্নতজাতের বীজ, কলম ও চারা পাওয়া যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে যোগাযোগ করলে চারা পাওয়া যাবে।

 

 

যেভাবে পরিচর্যা করতে হবে: আগাছা নিড়ানী দিয়ে তুলে ফেলতে হবে এবং গোড়ার মাটি মাঝে-মধ্যে আলগা করে দিতে হবে। প্রয়োজনে জল সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। পিঁপড়া ও মাকড়সার আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষার জন্য হিপ্টেক্লোন-৪০ পরিমাণমতো দেয়া যায়। সাধারণ পোকার জন্য মেলতিয়ন বা ডাইমেক্রন ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে। রোগ অনুযায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। সার প্রয়োগের কলাকৌশল জেনে চাহিদামতো কয়েক দফা সুষম সার ও সেচ দিতে হবে। ফুল ধরার বেশ আগে থেকেই বিশেষ যত্ন নিতে হবে। ফুলের পরিমাণ ও মান উভয় দিকেই খেয়াল রাখা দরকার। গাছভেদে পুরানো ও রোগা ডাল-পালা ছাঁটাই করে দিতে হবে।

 

ফুল সংগ্রহ: ফুল সম্পূর্ণ ফোটার আগে ডাঁটাসহ কেটে ফুল সংগ্রহ করা যায়। ডাঁটার নিচের অংশ জলে ডুবিয়ে রাখলে ফুল সজীব থাকে। মান ভালো রাখার জন্য ডাঁটাসহ ফুল আঁটি বেঁধে পরিপাটি করে কালো পলিথিনে মুড়ে বাজারে পাঠাতে হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top