কলকাতা – আর মাত্র ছ’মাস পর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র ব্যাপক জয়ের সুরে উজ্জীবিত বিজেপি বলছে— এবার বাংলার পালা। বিহারের ফলাফলকে আঁকড়ে ধরে বাংলায় শক্তিশালী ফলের আশা দেখছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু এই আনন্দে জল ঢেলে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, বাংলার মাটি, বাংলার ভোটের মনোভাব— সবটাই আলাদা, তাই বিহারের ফলের প্রভাব বাংলায় পড়বে না।
বিহারের ভোট হয়েছে এসআইআর-এর (SIR) বিশেষ নিবিড় সংশোধনের পর। বাংলাতেও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সেই প্রক্রিয়া। বহু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের ধারণা— এসআইআর সম্পূর্ণ হওয়ার পরই বাংলায় নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদিনই বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, বিহারের মতোই বাংলায় ভোটে এসআইআরের প্রভাব পড়বে।
ঠিক এই দাবিকেই নস্যাৎ করে কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন— “বিহারের ভোটের প্রভাব বাংলায় পড়বে না। বাংলায় উন্নয়ন, ঐক্য, সম্প্রীতি, অধিকার, আত্মসম্মান— এগুলোই মূল ফ্যাক্টর।” তাঁর দাবি, আড়াইশোর বেশি আসন নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি অভিযোগ করেন, বাংলায় এসআইআর ঘিরে বিজেপি ও জাতীয় নির্বাচন কমিশন চক্রান্ত করবে এবং কেন্দ্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করবে। যদিও এসব জয়গান ব্যর্থ করবে তৃণমূল— এমনটাও দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেস নিয়ে ক্ষোভ উগরে কুণাল বলেন, “কংগ্রেস যে বিজেপি বিরোধিতায় ব্যর্থ, তা আবার প্রমাণিত হলো।”
বিজেপির বিহার-আশা ভরসার বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “বিহার দেখিয়ে বাংলাকে হুমকি দিয়ে লাভ নেই। বাংলার মানুষের অধিকার ও আত্মসম্মানে আঘাত করলে কেউ ভোট পাবে না। এখানে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা। বিহার-সহ বহু রাজ্য তাঁর উন্নয়নের মডেল অনুসরণ করছে।” বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করে তাঁর সংযোজন— “বিহারের সঙ্গে বাংলার কল্পিত তুলনা করবেন না।”
বিহারের ফলাফলের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে বাংলার রাজনীতি। আগামী বিধানসভা ভোটে এই রাজনৈতিক লড়াই কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।




















