মাঠে শৌচকর্ম সাড়তে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এক আদিবাসী নবম শ্রেণী ছাত্রী নাবালিকাকে অপহরণ করে বিহারে পাচারের অভিযোগ উঠল। ঘটনার আট দিন কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত অপহরণ হয়ে যাওয়া ওই নাবালিকার কোন খোঁজ মেলেনি। অভিযোগের তীর প্রতিবেশী এক মহিলার ও তার স্বামীর দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলা গ্রামে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পিপলা গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জু পাসমানের ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে প্রায় আট দিন আগে এক সন্ধ্যা বেলা মাঠে শৌচকর্ম করতে নিয়ে যাবে বলে প্রতিবেশী যশোদা ঋষি সঙ্গে করে নিয়ে চলে যায়। তারপর থেকে আর মেয়ের খোঁজ পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন – পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই বুদ্ধ পূর্ণিমায় বুদ্ধের দেশে মোদী!
এলাকায় খোঁজা খুঁজি করলেও মেয়ের কোন হদিস পায় না বাড়ির লোকেরা। এমনকি যশোদা আর তার স্বামীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি বলে অভিযোগ ওই নাবালিকা মেয়ের মায়ের। ওই নাবালিকা মায়ের দাবি তার মেয়েকে অপহরণ করে বিহারে পাচার করা হয়েছে। এবং এই পাচারের পেছনে প্রতিবেশী যশোদা রিসি ও তার স্বামী মথুর ঋষি প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে আছেন। এ প্রসঙ্গে অপহরণ হয়ে যাওয়া ওই নাবালিকার মা মঞ্জু পাসমান জানান গত ৮ দিন আগে এক সন্ধ্যা বেলা আমার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে শৌচকর্ম করার নাম করে নিয়ে যায় প্রতিবেশী যশোদা ঋষি। তারপর থেকে মেয়ের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন এলাকা তে আমরা খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের কোন হদিস পাইনি।আমার সন্দেহ আমার প্রতিবেশী মহিলা যশোদা ঋষি ও তার স্বামী মথুর রিশি মিলে আমার মেয়েকে অপহরণ করে বিহারে পাচার করেছে। আমি চাই পুলিশ ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিক। এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি।