বিহার – বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। রাজ্যের ২৪৩টি আসনের মধ্যে আজ ভোট হচ্ছে ১২১টি কেন্দ্রে। সকাল থেকেই ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে বুথের সামনে। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে আগামী ১১ নভেম্বর। ভোটের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যবাসীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর পরিচিত পরামর্শ—‘পহলে ভোট দান, বাদ মে জলপান।’ অর্থাৎ, আগে ভোট দিন, তারপর প্রাতঃরাশ করুন।
এই বার্তা প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরেই দিয়ে আসছেন। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময় থেকেই তিনি ভোটের দিনে সকালে বুথে যাওয়ার ওপর জোর দেন। বিশেষত মহিলাদের উদ্দেশে তাঁর এই আহ্বান বেশি কার্যকর। কারণ, ভারতের অধিকাংশ পরিবারে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহিলাদের ব্যস্ততা থাকে টিফিন, দুপুরের খাবার এবং পরিবারের যত্ন নেওয়া নিয়ে। সেই বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই মোদীর পরামর্শ—“আগে ভোট দিন, তারপর জলখাবার।”
নরেন্দ্র মোদী বরাবরই মহিলা ভোটারদের উৎসাহিত করতে প্রচার চালিয়ে আসেন। তিনি জানেন, সকালে রান্নাবান্নার কাজে ব্যস্ত থাকায় অনেক মহিলা দুপুরের আগে বুথে যেতে পারেন না। তাই ভোটদানের হার বাড়াতে তিনি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকালের দিকেই ভোট দিতে উৎসাহ দেন।
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, সকালে ভোট পড়লে দিনের শেষে মোট ভোটদানের হার বাড়ে। মানুষ বুথে যেতে আগ্রহী হন। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেন—সকালের সময়টাকেই কাজে লাগান। গত সপ্তাহে বিহারের বুথ স্তরের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এই বিষয়েই জোর দেন। বিশেষ করে মহিলা পদাধিকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ভোটের দিন আপনাদের কাজ হবে এলাকার মহিলাদের দলবেঁধে বুথে নিয়ে যাওয়া।”
আজকের প্রথম দফার নির্বাচনে একাধিক তারকা প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে। বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ তেজস্বী যাদব এই পর্যায়েই লড়ছেন। পাশাপাশি, নীতীশ মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরীর ভাগ্যও নির্ধারিত হবে আজ। প্রথম দফাতেই ভোট হবে লালু প্রসাদের বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদবের আসনে। লালুর ত্যাজ্য পুত্র, যিনি নিজের দল গড়ে পাটনার অদূরে মহুয়া কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন, তাকেও আজই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে ভোটবাক্সে।
সব মিলিয়ে, বিহারের প্রথম দফার ভোটে সকাল থেকেই উৎসবের আবহ। প্রধানমন্ত্রী থেকে সাধারণ ভোটার—সবার নজর আজ ভোটের বাক্সে।



















