বিড়ম্বনা নিজের বিড়ম্বনা দলের। একজন মন্ত্রী তার গুরুত্ব আছে। মন্ত্রী যখন তখন তারও গুরুত্ব আছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির বক্তব্যও সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। ফলে যার গুরুত্ব আছে তার ভাষণে বাক্য চয়নও গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি আবেগে খুব ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ভুল করেন তবে তার মূল্য চোকাতে হয় বড় করে। আর সেই ভুল যদি হয় রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে, তবে তার গুরুত্ব আরও ভয়ংকর। এহেন ভয়ংকর মন্তব্য করে কি ঠিক করেছেন মাননীয় কারামন্ত্রী অখিল গিরি ? নিশ্চয়ই ঠিক করেন নি। তার দল তৃণমূল কংগ্রেস তার এই বক্তব্য সমর্থন করেনি। তাহলে সবদিকদিয়েই তার বক্তব্যের বিপক্ষে মতামত পড়েছে। তারফলে অল্প হলেও নিজের দল বিরোধীদের কাছে সমালোচনা নিশানায় পড়েছে।
এটা ক্ষমা করার নয়। কারণ একে তিনি মহিলা, তারউপর তিনি দেশের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসেছেন। তার প্রতি সকলের সর্বোচ্চ মর্যাদা দেবার কথা। সেই মর্যাদা ক্ষুন্ন করার কোন প্রয়াস সামান্যতম সমর্থনযোগ্য নয়। তবে বিজেপি এটিকে নিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। যদিও এতে বিজেপির নেতারা কোন দোষ করেছেন তা বলার কোন চেষ্টা করা হয়নি। তবে এই বিষয়ে যখন অখিল গিরি ক্ষমা চেয়েছেন। তখন বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করলেও চলে।
তা কিন্তু হয়নি বিজেপির প্রচারের দায়িত্বে থাকি অমিত মালব্য সঙ্গে সঙ্গে টুইট করে সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছেও অভিযোগ পৌছে না গেলেও তারা টুইটার সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেই সুয়োমোটো মামলা করা হয়েছে। ক্ষমা চেয়েছেন মন্ত্রী। এইসব এফআইআর করে কিছু হবেনা। দুদিন চেচামেচি হবে। তারপর সব থেমে যাবে। তবুও ভুল ভুলই। ভুলকে ঠিক বলার কোন কারণ নেই। যে যত ভুল করবেন তার খেসারত শুধু তাকে নয় তার দলকেও দিতে হয়। এটা মনে রাখতে হবে। এটা মনে রাখলে জনপ্রতিনিধিদের ভুল কম হবে। দলের ও তার নিজের বিড়ম্বনা কম হবে।