নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম, ৮ ডিসেম্বর, লাভপুরে তিন ভাইকে খুনের ঘটনায় নতুন করে জুড়ল তৃণমূল বিধায়ক বর্তমানে পদ্ম শিবিরে যাওয়া মনিরুল ইসলামের নাম। শুধু মনিরুলই নয়, পুলিশের পেশ করা সাপ্লিমেনটারি চার্জশিটে প্ররোচনা ছড়ানোর দায়ে নাম আছে মুকুল রায়েরও। জানা গিয়েছে, গত ৪ ডিসেম্বর ২০১০ সালে বোলপুর আদালতে হওয়া ঘটনার পুনরায় তদন্ত করে চার্জসিট জমা দেয় পুলিশ। সেই চার্জসিট গৃহীতও হয়েছে বলে জানা গেছে পুলিস সূত্রে।
বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানিয়েছেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে আবার তদন্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। সেই চার্জশিট গৃহীত হয়েছে”। ২০১০ সালে লাভপুরের বুনিয়াডাঙ্গার সিপিআই কর্মী তিন ভাইকে প্রকাশ্যে মণিরুলের বাড়ির উঠোনে কুপিয়ে খুন করে এই তৃনমূল বিধায়কের দলবল। খুন হওয়া তিন ভাইয়ের মা জরিনা বিবির করা অভিযোগে নাম ছিল তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ ৫২ জনের। কিন্তু তারপর রহস্যজনকভাবে ২০১৫ সালে মনিরুল সহ ২২ জনের নাম বাদ যায় পুলিসী চার্জশিটে।
ছেলেদের খুনের ন্যায় বিচার পেতে জরিনা বিবি এখনও সিবিআই তদন্তের দাবী জানায়। পরে নিহতের পরিবার পুনরায় তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঘটনার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে কৈলাশ বিজয় বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন মণিরুল।হাইকোর্টের নির্দেশ মত ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ৪ ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে মণিরুল ইসলামের। এমনকি, প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটে নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের।