বীরভূমে চায়ের দোকানে আয়োজিত হল রক্তদান শিবির। বীরভূমের দুবরাজপুরের প্রসিদ্ধ চা বিক্রেতা বিপুল ওঝা। এবার তার ইচ্ছাতে চায়ের দোকানেই আয়োজিত হল স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির। রীতিমত নজির গড়লেন তিনি।
বিপুল ওঝার চা এর দোকানের সূত্রে সেখানে নানান মানুষের আনা গোনা। আড্ডা বসে নিত্যদিন। আর সেই আড্ডা থেকেই উঠে আসে গ্রীষ্মকালিন রক্তের সংকট, ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে রক্তশূন্যতার কথা। আর তার পরেই রক্তদান শিবির করার ভাবনা আসে তার মনে। এরপর বীরভূম ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চায়ের আড্ডায় চা বিক্রেতা বিপুল তার মনের কথা কথা জানান তাদের। যেমনি কথা তেমনি কাজ। রক্তদান শিবির আয়োজনে তৎপর হয়ে পরেন বীরভূম ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা । আয়োজিত হয় বিপুলের চায়ের দোকানেই। রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে আয়োজন করা হয় এই রক্তদান শিবিরের । BVBDA -এর হাত ধরে দুবরাজপুরের বিপুল ওঝার চায়ের দোকান থেকে শুরু হয় জেলার মধ্যে ধারাবাহিক ভ্রাম্যমাণ রক্তদান শিবিরের । এই শিবিরে চা বিক্রেতা বিপুল ওঝা-সহ আরও ২০ জন রক্তদান করেন ।
আর ও পড়ুন ভুয়ো নীল বাতি গাড়ি আটক করল পুলিশ, গ্রেফতার চালক
এই প্রসঙ্গে বীরভূম ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি প্রিয়নীল পাল বলেন , ‘‘রাজ্য সরকারের ভ্রাম্যমাণ রক্তদান শিবিরের লক্ষ্য যাতে সবাই রক্তদানে এগিয়ে আসে সেই লক্ষ্যকে পূরণ করতেই আমরা চায়ের আড্ডাকেই বেছে নিয়েছি রক্তদান করার জন্য । এই শিবিরের মাধ্যমে এই সময় রক্তের সংকট অনেকটা কমবে,আগামী এক মাসে কম করে ২৪ টা রক্তদান শিবির আয়োজিত হবে সারা জেলা জুড়ে ।’’
চা বিক্রেতা বিপুল ওঝা বলেন, “আমার দোকানের চা আড্ডায় একদিন শুনি রক্তদানের সঙ্গে যুক্ত কয়েক জন আমার দোকানে চা খেতে এসেছে। আমার ইচ্ছে হয় যদি একটা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় । তার পরই আমি সে কথা তাঁদের জানাই । তবে তাঁদের জানাতেই তাঁরা আমার চায়ের দোকানেই বাতানুকূল বাসে রক্তদানের ব্যবস্থা করেন । এই উদ্যোগে আমি খুব খুশি হয়েছি।“ চায়ের দোকানে