উত্তরবঙ্গের জঙ্গল আবৃত্ত ডুয়ার্স এলাকায় বুনেরা লোকালয়ে চলে আসছে।হামেশাই মানুষ পশু সংঘাত বাড়ছে।প্রাণ বিপন্ন হচ্ছে উভয়পক্ষরই।পশুরা লোকালয়ে চলে আসার পেছনে বনে পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাব হচ্ছে বলে একপক্ষ যখন বনবিভাগকে দায়ী করেন ।ঠিক তখনি সমীক্ষা জানাচ্ছে বনে বসতি গড়ে তুলে মানুষই পশুদের অস্তিত্ব সংকটে ঠেলে দিচ্ছে।
হাতি লোকালয়ে চলে আসার ঘটনা মোটেই নতুন নয় এই অঞ্চলে।তবে হাতির হানা এড়াবার জন্য বন দপ্তর থেকে জঙ্গলের পাশে বসতি এলাকায় ধান কলা সহ কিছু চাষের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যা বর্তমানেও বহাল রয়েছে।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল সেই জাতীয় ফসল চাষ করছেন বনবসতি এলাকার মানুষেরা আর তা খেতে এসে হাতির হানায় নষ্ট হওয়ার জন্য ক্ষতিপুরন দাবি করা হচ্ছে।
তবে এবার বন থেকে লোকালয়ে হাজির বাঘ থেকে ভাল্লুক ۔ বাইসন গন্ডার বান্দরতো রয়েছেই۔ ডুয়ার্সের চা বাগান এলাকা সহ ভাল্লুক এসে হাজির খোদ জলপাইগুড়ি মালবাজার শহরগুলিতে۔۔ বনবিভাগ পশুদের খাদ্যের সম্ভার সৃষ্টি করে বনেই۔ কিন্তু জঙ্গলের পাশে লোভনীয় খাবার পেলে পশুরা চলে আসে۔ শীত পড়তেই এলাকায় কুয়াশার চাদর পড়তে শুরু হয়েছে۔। সন্ধ্যার মধ্যেই গাঢ় অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে লোকালয়গুলি۔۔ পশুদের উপস্থিতি তাই ঠিকমতো টের পাওয়া যায় না। ۔
তাই অনেক সময় পশুদের আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে মশ্নুষদের۔।এদিকে ভাল্লুক বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গ জুড়ে۔ মাঝেরডাবরী চা বাগান এলাকায় একটি ভাল্লুকের মৃতদেহ উদ্ধার হয় সম্প্রতি۔ আলিপুরদুয়ার সংলগ্ন গাৰ্গেণ্ডাতে বুধবার একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ মিললে চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে বনদপ্তরের কাছে۔ এড়ানো যাচ্ছে না মানুষ পশু সংঘাতের সন্দেহ।
আর ও পড়ুন জঙ্গলমহল জুড়ে পালিত হচ্ছে ছোট মকর পরব
শিলিগুড়ির বাসিন্দারা মনে করেন পশুরা লোকালয়ে চলে আসা চিন্তার কারণ۔ তার ধারণা এতে বুনোদের প্রাণ বিপন্ন হয়ে পড়ছে সংঘাতে মৃত্যু ঘটছে মানুষেরও। এই অবস্থা থেকে বের হতে হলে জাতীয় স্তরে সিদ্ধান্ত প্রয়োজন۔ তিনি সাফ জানান পশুরা কখনোই লোকালয়ে আসতে চায় না।
তবে খাদ্যের অভাবে এবং জঙ্গলের পরিসর কমে যাওয়ার কারণে এমনটি ঘটছে۔বনবিভাগের এক কর্তা দীপেন সুব্বা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও বলেন, পশুরা বাড়ি ঘর তৈরি করে মানুষদের জায়গা দখল করে না বুনোদের ডিস্ট্রাব করে মানুষেরাই۔ বনবিভাগ পশুদের খাদ্যের সম্ভার সৃষ্টি করে বনেই۔ কিন্তু জঙ্গলের পাশে লোভনীয় খাবার পেলে পশুরা চলে আসে তারা খবর পেলেই পশুদের বনে ফেরতের ব্যবস্থা করেন۔ তবে সম্প্রতি সংঘাতের বিষয়টি তাদের চিন্তায় ফেলেছে।