বৃক্ষরোপন ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কর্মশালার মাধ্যমে কন্যাশ্রী দিবস পালিত বর্ধমানে। বুধবার বর্ধমান শহরের সিধু কানুর মঞ্চে। কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষে কন্যাশ্রী বৃক্ষরোপন উৎসব ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কর্মশালার আয়োজিত হল পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এদিনের কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাপরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা,
জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক রামশঙ্কর মন্ডল, জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক, নারী ও শিশু কল্যান কর্মাধ্যক্ষ মিঠু মাঝি সহ অনান্য প্রশাসনিক আধিকরা।এদিন সিধু কানুর মূর্তির পাদদেশ থেকে টাউনহল পর্যন্ত একটি র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও জেলাপরিষদের সভাধিপতি সম্পা ধারা সহ জেলা প্রশাসনের অনান্য আধিকারিকরা। এইদিন বাল্যবিবাহ রোধ কর্মশালার সূচনার সাথে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালিত হলো।
আরও পড়ুন – গণেশ চতুর্থীতে চাঁদের দিকে তাকাতে নেই কেন? জানুন এর পৌরাণিক কাহিনি
কন্যাশ্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় চারা গাছ।একইভাবে পালিত হলো বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।এইদিন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, জেলায় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পে। ৫৫ লক্ষ মানুষের বাস এই জেলায় তার মধ্যে ২৫ লক্ষ মহিলা সংখ্যা। কন্যাশ্রীর টাকা পেয়েছে ১৫ লক্ষ ৬২ হাজারেরও বেশী ছাত্রী। বিয়ের জন্য রাজ্য সরকারের প্রকল্প রুপশ্রীর ২৫ হাজার টাকা পেয়েছে প্রায় ৫৯ হাজারের বেশী প্রাপ্ত বয়স্কা পাত্রী। জেলায় প্রায় ১৪৮ কোটি টাকার কাছাকাছি ব্যয় হয়েছে এই প্রকল্পে। অন্যদিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতির শম্পা ধারা বলেন, গত কিছু বছরের তুলনায় এই কয়েক বছর মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই লক্ষ্যনীয়ভাবে বেশি। এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্যই।