সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা বৃদ্ধা মাকে মারধর, খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই আদালতের নির্দেশে ঘর ফিরে পেল।।দীর্ঘ আইনি লড়াই পড়ে আদালতের নির্দেশ স্বামীর জন্মভিটে ফিরে পেলাম পেল স্ত্রী। বসিরহাটের স্বরুপনগর ব্লকের বিথারী ঘোষপাড়া গ্রামের ঘটনা। বছর ৬৫ অঞ্জলি বালা ঘোষ. স্বামী নাড়ু ঘোষ ৭ বছর আগে মারা যান। বৃদ্ধার শেষ সম্বল বাড়িসহ ১৫ কাটাজমি। একমাত্র ছেলে দীপঙ্কর ঘোষ পেশায় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী। কর্মসূত্রে বসিরহাটে থাকে, মার সম্পত্তি হাতাতে চলে অকথ্য অত্যাচার মানসিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয় ৬৫ বৃদ্ধা।
পাঁচ বছর আগে ছেলে, জাল দলিল তৈরি করে ওই সম্পত্তির ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে বিক্রি করে দেয়। তারপর নিজের মাকে বেধক মারধর দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ওই বৃদ্ধার স্বামী তার স্ত্রীর নামে পুরো সম্পত্তি লিখে দিয়েছিল। তারপর এই ছেলে কিভাবে পরিকল্পনা করে জাল দলিল তৈরি করে এই সম্পত্তি বিক্রি করে। বৃদ্ধার প্রথমে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা আকাশের নিচে। এরপর। পর মেয়ের বাড়ি তারপর শুরু হয় ভিটেবাড়ি ফেরানোর আইনি লড়াই।
ছেলের বিরুদ্ধে প্রথমে স্বরূপনগরের থানা তারপর বসিরহাট আদালতে আইনের লড়াই শুরু করেন। অঞ্জলি নিজের সম্পত্তি অধিকার পেতে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মুক্তির পথ দিল বসিরহাট মহাকুম আদালত বিচারক। ওই বৃদ্ধা জমি বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি সরুপনগর থানার কে নির্দেশ দিয়েছেন ওই বৃদ্ধাকে যেন ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ঘরের দরজার তালা ভেঙে বৃদ্ধা ঘরে ঢুকলেন। তাই আদালতের নির্দেশ মতো বৃদ্ধার স্বামীর জন্ম ভিটে ফিরে পেয়ে খুশি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। ধন্যবাদ দিয়েছেন একদিকে প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থা কে ।একরাশ একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন – গণেশ চতুর্থীর দিন ভুলেও করবেন না এই কাজ, জীবনে নেমে আসবে চরম দুর্দশা
বলেছেন কোন সন্তান মার সঙ্গে যেন এরকম কাজ না করে, যাদের একমাত্র সন্তান বৃদ্ধ বয়সে সম্বল তাদের ধরে বেঁচে থাকা। আর সেই সুযোগে সন্তানরা মায়ের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে মারধোর শারীরিক নির্যাতন এমনকি বাড়ি থেকে বের করে দেয়। নিজের নামে জাল দলিল তৈরি করে ভিটে ছাড়া করা এ যেন আর কারো সঙ্গে না হয়। সমাজকর্মীর প্রতীক সরকার ও হামিদুল গাজী বলেন, এটা একবিংশ শতাব্দীতে খুব লজ্জাজনক ঘটনা একমাত্র সন্তান ঘিরে বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবার বেঁচে থাকার লড়াই ।এবং সেই সুযোগে সন্তান তার জন্ম ভিটে বিক্রি করে মারধর দিয়ে খোলা আকাশের নিচে বের করে দেয়। এইরম সন্তানদের শাস্তি হওয়া উচিত।