নিজস্ব সংবাদদাতা,বীরভূম,৮ ই আগস্ট :সিউড়ির বড়বাগান এলাকার পাঁচের পল্লী থেকে নির্মল মন্ডল নামে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর বড় দাদা অপূর্ব মন্ডলের মৃতদেহ। মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। দেহ আটকে রাখা, নাকি দেহ লোপাটের চেষ্টায় ছিলেন পরিবারের সদস্যরা, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অপূর্ব মন্ডল নামে ওই ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের মৃত্যু কবে হয়েছে তা নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা সন্দেহে রয়েছেন। কারণ, আজ সন্ধ্যাবেলায় হঠাৎ করে বহিরাগত কয়েকজনকে দেখা যায় নির্মল মন্ডলের বাড়ি থেকে তার বড় দাদা অপূর্ব মন্ডলের দেহ বের করতে। তখন ওই মৃত বৃদ্ধের শরীরে প্রচন্ড দুর্গন্ধ তৈরি হয়েছে পচন ধরে যাওয়ার ফলে। হঠাৎ করে মৃতদেহ বের করতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা বহিরাগত ওই ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা আর দেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেনি। তারপর খবর দেওয়া হয় পুলিশ এবং ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য আসে সিউড়ি থানার পুলিশ।ঘটনার পর থেকেই এলাকাবাসীদের মধ্যে দানা বেঁধেছে রহস্য। ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর পার্শ্ববর্তী বাড়ির কেউ টের পায়নি পর্যন্ত, অথচ গোটা শরীরে ধরে গিয়েছে পচন। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত, দিন কয়েক আগেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের। কিন্তু পরিবারের লোকজন কাউকে কিছু না জানিয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টা ছিলেন। তবে বৃদ্ধের ওই পরিবার কেন এমন ঘটনা ঘটাতে চলেছিলেন তা এখনো পরিষ্কার নয়।
বৃদ্ধের মৃত্যুর দিনক্ষণ নিয়ে পরিবারের দাবি, গতকাল সন্ধ্যায় অপূর্ব মন্ডল মারা গিয়েছেন। তারপর থেকেই দেহ বাড়িতেই ছিল। পরিবারের এক মহিলা জানান, মৃত্যুর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, তবে গতকাল মারা গিয়েছেন এটাই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে শুনেছেন। খবর পেয়ে তিনি আজ সকালেই এখানে এসেছেন।পরিবারের সদস্যদের বক্তব্যের মধ্যে অজস্র অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তারা ক্যামেরার সামনে সঠিকভাবে কিছু বলতে চাইছিলেন না। কেউ মুখ লুকিয়ে ক্যামেরাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কেউবা সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে বাকরুদ্ধ।আর এখানেই প্রশ্ন, পরিবারের দাবি অনুযায়ী সত্যিই যদি গতকাল সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে এতো সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর কেন সৎকারের কথা মনে পড়ল? কেনই বা মৃত্যুর খবর পাড়া প্রতিবেশীদের কাউকে জানানো হয়নি? এসকল সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে সিউড়ি থানার পুলিশ।