বৃষ্টিতে চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা। বঙ্গে জাওয়াদ প্রভাব না ফেললেও ভারী বৃষ্টি চাষের ব্যাপক ক্ষতি করবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। বিশেষত সবজি ধানের উপর বেশ প্রডাব ফেলবে এই বৃষ্টি। তবে ঝড় না এলেও ইতিমধ্যে হাওড়া জেলা প্রশাসন শ্যামপুর এক নম্বর, দুই নম্বর ব্লক সহ নদী তীরবর্তী ব্লকগুলোতে যথেষ্ট তৎপর শুরু করেছে। লোকেদের সচেতন করা থেকে শুরু করে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাপনা করেছে প্রশাসন। শনিবার শ্যামপুর বাগনান সহ কয়েকটি ব্লকে গিয়েও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক সমীর কুমার ঘোষ।
আমতা উদয়নারায়নপুর শ্যামপুর বাগনান এসব এলাকায় দামোদর মুন্ডেশ্বরী রূপনারায়ন নদীর চরে সবজি ব্যাপক ফলন হয়। চাষিরা জানিয়েছেন সবেমাত্র কেউ কেউ আলু বসিয়েছেন। আবার কারো আলুর চারাগাছ বেরিয়েছে। আবার কেউ আলু বসানোর জন্য জমি তৈরি করে রেখেছেন। কিন্তু বৃষ্টি হলে সকলেই সমস্যায় পড়বেন। চাষিদের আশঙ্কা বৃষ্টিতে বসানো আলু ও আলু চারা গাছ পচে নষ্ট হবে।
এছাড়া জয়পুর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ফুলকপি বাঁধাকপি চাষ হয়। বৃষ্টিতে এইসব ফুলকপি বাঁধাকপি চাষ ক্ষতি হবে। অধিকাংশ চাষিদের মতে শনিবারের বৃষ্টি মোটামুটি মাটি শুষে নিলেও রবিবার যদি আবার বৃষ্টি হয় তাহলে সবজি মাঠে মারা যাবে। তার ওপর বৃষ্টির আশঙ্কায় প্রশাসন ধান কেটে বাড়ি তোলার কথা বললেও বহু জমিতে ধান কাটা পড়ে রয়েছে এবং অনেকের নিচু জমিতে কিছু সামান্য জল থাকায় ধান কাটতে পারেননি অনেক চাষী। ফলে বৃষ্টি হলে পুনরায় তারা সমস্যায় পড়বেন।
এদিকে ঝড় বৃষ্টির প্রস্তুতি নিয়ে উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসক হাওড়ার শ্যামপুর বাগনান সহ কয়েকটি ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্লকে ব্লকে গিয়ে। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আশঙ্কাজনক বাড়ি চিহ্নিত করে তাদের সচেতন করে দেয়া হয়েছে এবং এলাকার স্কুলগুলো চাবি প্রশাসন নিয়ে নিয়েছে যাতে কোনো সমস্যা হলে আশ্রয়হীনদের সেখানে নিরাপদে রাখা যায়। পাশাপাশি এনডিআরএফ, এসডিআরএফ জেলা স্তরে রয়েছে। প্রয়োজন হলেই তাদের ডাকা হবে।
আর ও পড়ুন জাওয়াদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ভূমি ও গাছ পুজো সুন্দরবনবাসীর
উল্লেখ্য, বৃষ্টিতে চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা। বঙ্গে জাওয়াদ প্রভাব না ফেললেও ভারী বৃষ্টি চাষের ব্যাপক ক্ষতি করবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। বিশেষত সবজি ধানের উপর বেশ প্রডাব ফেলবে এই বৃষ্টি। তবে ঝড় না এলেও ইতিমধ্যে হাওড়া জেলা প্রশাসন শ্যামপুর এক নম্বর, দুই নম্বর ব্লক সহ নদী তীরবর্তী ব্লকগুলোতে যথেষ্ট তৎপর শুরু করেছে। লোকেদের সচেতন করা থেকে শুরু করে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাপনা করেছে প্রশাসন।
শনিবার শ্যামপুর বাগনান সহ কয়েকটি ব্লকে গিয়েও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক সমীর কুমার ঘোষ। আমতা উদয়নারায়নপুর শ্যামপুর বাগনান এসব এলাকায় দামোদর মুন্ডেশ্বরী রূপনারায়ন নদীর চরে সবজি ব্যাপক ফলন হয়। চাষিরা জানিয়েছেন সবেমাত্র কেউ কেউ আলু বসিয়েছেন। আবার কারো আলুর চারাগাছ বেরিয়েছে। আবার কেউ আলু বসানোর জন্য জমি তৈরি করে রেখেছেন। কিন্তু বৃষ্টি হলে সকলেই সমস্যায় পড়বেন। চাষিদের আশঙ্কা বৃষ্টিতে বসানো আলু ও আলু চারা গাছ পচে নষ্ট হবে।