রাজ্য – হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছিল বৃহস্পতিবারই, আর শুক্রবার সকাল থেকে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। বৃহস্পতির রাত থেকেই আকাশের চেহারা পাল্টাতে শুরু করে। কোথাও টিপটাপ, কোথাও আবার প্রবল বৃষ্টির সাক্ষী থেকেছে মানুষ। শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলা ঘন মেঘের চাদরে ঢেকে গিয়েছে, দফায় দফায় হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। একই চিত্র ধরা পড়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।
আবহাওয়া দপ্তরের বৃহস্পতিবার বিকেলের বুলেটিন অনুযায়ী, আগামী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বজায় থাকবে বৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি। ৮ আগস্ট উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও উত্তর দিনাজপুরে এক-দুটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি, মালদহ ও দুই দিনাজপুর-সহ কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বজ্রপাত এবং ৩০-৪০ কিমি গতির দমকা হাওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রপাত ও দমকা হাওয়ার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাই দুর্যোগের শঙ্কায় রয়েছে।
৯ আগস্ট উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলাগুলিতে একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে সেদিনও বজায় থাকবে বিক্ষিপ্ত বজ্রপাত ও দমকা হাওয়ার আশঙ্কা।
১০ আগস্ট কিছুটা কমবে দক্ষিণবঙ্গের দুর্যোগ। তবে উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। একইসঙ্গে, ১২ ও ১৩ আগস্ট ফের দুর্যোগ বাড়বে উত্তরবঙ্গে—বিশেষত জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা এখন উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে হিমালয়ের পাদদেশ বরাবর বিস্তৃত। পাশাপাশি, উত্তর বাংলাদেশে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত, যা প্রচুর জলীয় বাষ্প টেনে আনছে বাংলার দিকে। এর ফলেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উত্তরবঙ্গে বৃদ্ধি পাবে এবং পাহাড়ি এলাকায় ধস নামার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকাতেও টানা বৃষ্টির ফলে জলমগ্নতার আশঙ্কা রয়েছে।
