দক্ষিণ দিনাজপুরে বেকারত্ব দূর করতে ভরসা হয়ে উঠেছে জাপানি কোয়েল চাষ

দক্ষিণ দিনাজপুরে বেকারত্ব দূর করতে ভরসা হয়ে উঠেছে জাপানি কোয়েল চাষ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

দক্ষিণ দিনাজপুরে বেকারত্ব দূর করতে ভরসা হয়ে উঠেছে জাপানি কোয়েল চাষ। দেশজুড়ে বেকারত্বের কালো ছায়া। তবে এই বেকারত্ব দূর করার একটি উপায় বের হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। তা হল জাপানি কোয়েল পাখি চাষ। পথ দেখাচ্ছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের আজইর গ্রামের “দীন দুঃখিনী ফার্মার্স ক্লাব”। অন্য যে কোনও পোল্ট্রি ব্যবসায়ের তুলনায় কোয়েল চাষ করে বেকারদের জন্য অত্যন্ত দ্রুততার সাথে লাভজনক উপায়।পাশাপাশি বিকল্প আয়ের জন্য কৃষকবন্ধুরা কৃষিকাজের সাথে এই কোয়েল পাখির চাষ করেও নিজেদের ও পরিবারকে সাবলম্বী করে তুলতে পারেন। সেদিকেই দিশা দেখাতে এগিয়ে এসেছে এই এলাকার দীন দুঃখিনী ফার্মাস ক্লাব।

আরও পড়ুন – ২রা মে থেকে স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য, কোয়েল পাখী পালন করতে জায়গা খুবই কম লাগে ও এদের রোগ অসুখ প্রায় হয় না বললেই চলে। কোয়েল পাখী খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। ব্রয়লার কোয়েলকে ৪ সপ্তাহ বয়সে বাজারে বিক্রি করা যায়। ৪ সপ্তাহ বয়সে ওজন ১২৫ গ্রাম ও ৫ সপ্তাহে ওজন ১৪০ – ১৫০ গ্রাম হয়। ৭টি কোয়েলে ১ কেজি মাংস হয়। কোয়েল ৬ – ৭ সপ্তাহ বয়স থেকে ডিম দিতে শুরু করে। এরপাশাপাশি এক ফুট বাই চার ফুট বা ৩ ফুট খাঁচায় ৬০টির মতো কোয়েল পাখি রাখা যায়। কোয়েল তার জীবনচক্রে ৬০০ গ্রামের মতো খাবার খায়।

 

কোয়েলের তেমন কোনও রোগ-ব্যাধি নেই। ফলে টিকা দেওয়া কিংবা ওষুধের খরচও সেভাবে নেই বললেই চলে।আরো লক্ষ করার বিষয় হলো আমাদের ভারতীয় জলবায়ু পাখি পালনের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয় এবং কোয়েল পাখিরা সব ধরণের পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। এখন কোয়েল চাষ করে সব খরচ বাদ দিয়েও প্রতি মাসে কম করে ১৫ হাজার টাকার ও বেশী আয় করা সম্ভব বলে জানা গেছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top