রাস্তার বেহাল অবস্থা ঘিরে তৃণমূল – বিজেপির রাজনৈতিক বাকবিতন্ডা। খানাখন্দে ভরা মুখ্য সড়ক, অবৈধ দখল দাড়িতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নিকাশি ব্যবস্থা, দুর্ঘটনায় জেরবার সাধারণ মানুষ,হেলদোল নেই প্রশাসনের, শুরু রাজনৈতিক বাকবিতণ্ডা শুধু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বললে ভুল হবে। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের এটাই মুখ্য সড়ক। কিন্তু দেখে তা মনে হয় না। খানা খন্দে ভরা যে কোন অলিগলির রাস্তাকেও হার মানায়। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় সর্বক্ষণ জমে থাকে জল। পাশের নিকাশি ব্যবস্থাও বেহাল। রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকান ফলে জল আর বেরোনোর পথ নেই। নোংরা জল রাস্তাতেই জমে থাকে। অথচ হরিশ্চন্দ্রপুর সদরের প্রধান রাস্তা এটাই।
নিয়মিত দুর্ঘটনা লেগে রয়েছে।গাড়ি বাইক উলটে পড়ে। রাতে এই রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কারণ রাস্তার দুপাশের কোন আলোই জ্বলে না। পঞ্চায়েত থেকে স্ট্রিট লাইট লাগানো আর হয় না। ফলে রাতে এই রাস্তায় হাঁটতে গেলে খানাখন্দে অন্ধকারে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে। আতঙ্কে রাতে এই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হবে বলে খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর ছেড়ে বেরোন না বয়স্করা। হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রধান এই সড়কের ওপর দিয়েই যেতে হয় হাসপাতাল, স্কুল কলেজ, সরকারি দফতরে।
আরও পড়ুন – মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিজয় উল্লাস তৃনমূলে
পঞ্চায়েত দফতর, ব্লক অফিসে যাওয়ার জন্যেও এটাই একমাত্র পথ। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এটাই পঞ্চায়েত বা ব্লক প্রশাসন সকলেই উদাসীন। স্থানীয় বাসিন্দারা বহুবার এই রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কিন্তু নেহাতই আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলে নি।২০১৮ সালে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে রাস্তা মেরামতির কাজ হয়। কিন্তু মাস কয়েকের মধ্যেই রাস্তার সব ছাল চামড়া উঠে গিয়ে মেরামতির কাজের নমুনা স্পষ্ট করে দেয়।
কঙ্কালসার রাস্তা সে ভাবেই পড়ে থাকে। আর এই গোটা ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল – বিজেপির রাজনৈতিক বাকবিতন্ডা। বিজেপির অভিযোগ সদর এলাকায় বেশী ভোট পেয়েছে বিজেপি, তৃণমূল ভোট না পাওয়ায় মেরামতির কাজ হচ্ছে না রাস্তার। অন্যদিকে বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত মেরামতির রাস্তা কাজ শুরু হবে বলে সাফাই দিয়েছেন তৃনমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যান। শুরু তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। বেহাল অবস্থা