মাওবাদী নাশকতা ঠেকাতে মেদিনীপুর পুলিস লাইনে বৈঠকে রাজ্য পুলিসের ডিজির । মাওবাদী নাশকতা ঠেকাতে শনিবার দুপুরে মেদিনীপুর পুলিস লাইনের সেফ হাউসে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য। একসময়ের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত পশ্চিম মেদিনীপুর , ঝাড়গ্রাম , পুরুলিয়া , বাঁকুড়া জেলার পুলিস কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করলেন তিনি। আই জি পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিংহ , ডিআইজি ( মেদিনীপুর রেঞ্জ ) প্রসূন ব্যানার্জি ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত
ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর , ঝাড়গ্রাম , বাঁকুড়া , পুরুলিয়া জেলার পুলিস সুপার ও পদস্থ পুলিস আধিকারিকরা ।
এই তিন জেলার গোয়েন্দা শাখার দায়িত্বে থাকা ডেপুটি পুলিস সুপাররাও ছিলেন। শনিবার বিকেল পর্যন্ত বৈঠক সেরে তিনি কলকাতায় ফিরে যান।
কেন্দ্র গোয়েন্দা সংস্থা মারফৎ রাজ্য পুলিস জানতে পেরেছে পশ্চিম বঙ্গের জঙ্গলমহল এলাকায় নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে মাওবাদীরা। গত ৮ এপ্রিল মাওবাদীরা জঙ্গল মহলে বনধের ডাক দিয়েছিল । এজন্য বহু এলাকায় হুমকি পোষ্টার উদ্ধার করে পুলিস। বনধ উপেক্ষা করলে চরম শাস্তি পেতে হবে বলে লেখা ছিল সেইসব হুমকি পোস্টারে।
আর ও পড়ুন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রাণের ইছামতীর পাড়ে নববর্ষ পালন
ইতিমধ্যে গোয়ালতোড় , শালবনি থেকে পুলিস ল্যান্ড মাইন , তার সহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করেছে পুলিস। এর থেকেই অনুমান মাওবাদীরা তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।
২০১২ সালের নভেম্বরে পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মাওবাদী পলিটব্যুরোর সদস্য কিষেনজির মৃত্যুর পর স্বস্তি ফিরেছিল জঙ্গল মহলে। তাঁর মৃত্যুর বদলা নিতে আরেক মাওবাদী নেতা গণপতির নেতৃত্বে মাওবাদীরা বিক্ষিপ্ত হামলা শুরু করলে রাজ্য সরকার তা কড়া হাতে দমন করে। একসময়ে মাওবাদী মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ সারা দেশে মডেল হিসেবে কাজ করে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি র আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজ্য সরকারের পুনর্বাসনের প্যাকেজ পেয়ে বহু মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য সহ লিঙ্কম্যানরা অস্ত্র ফেলে সাধারণ জীবনে ফিরে আসেন।
এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জঙ্গল মহলে তল্লাশি অভিযান জোরদার করতে হবে। নাকা চেকিং বাড়াতে হবে।
যাঁরা একসময়ে মাওবাদী দের লিঙ্ক ম্যান হিসেবে কাজ করতেন তাঁদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে হবে। জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকা গুলিতে পুলিসি সোর্স এর সংখ্যা বাড়াতে হবে।